“প্রশাসনের ব্যর্থতা না থাকলে বিএসএফ গুলি চালাত না”—ধুলিয়ান-কাণ্ডে রাজ্যকে তীব্র আক্রমণ কংগ্রেসের
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:ধুলিয়ান ও সংশেরগঞ্জের হিংসার ঘটনার পর প্রশাসনিক ব্যর্থতাকে নিশানা করল প্রদেশ কংগ্রেস। শনিবার রাজ্য পুলিশের ডিজিকে কড়া ভাষার চিঠি পাঠালেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি শুভঙ্কর সরকার। তাঁর অভিযোগ, “প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণেই কেন্দ্রীয় বাহিনী গুলি চালানোর সুযোগ পেয়েছে। যাঁদের দায়িত্ব ছিল পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখা, তাঁরাই ব্যর্থ। আর এই দাঙ্গার রাজনীতি থেকেই কেউ কেউ ভোটে জেতার হিসেব কষে বসে আছেন।”
শুভঙ্করবাবুর কথায়, মুর্শিদাবাদের সংশেরগঞ্জ ও ধুলিয়ান এলাকায় হিংসার ঘটনার পরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে। তিনি লেখেন, “শান্তি সম্প্রীতি ভেঙে পড়েছে। সাধারণ মানুষ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। দু’জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বিএসএফ মোতায়েনের পর, যা একেবারেই গ্রহণযোগ্য নয়।”
তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, “এই পরিস্থিতি রাজ্যের ব্যর্থতার ফল। যদি সুষ্ঠু প্রশাসনিক নজরদারি থাকত, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে অস্ত্র হাতে নামতে হতো না। আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়েছে—আর সেই সুযোগেই কেউ কেউ ধর্মীয় মেরুকরণের মঞ্চ সাজাচ্ছে নির্বাচনী লাভের জন্য।”
চিঠিতে কংগ্রেস দাবি করেছে, ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে দোষীদের চিহ্নিত করতে হবে। যথাযথ সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনী মোতায়েন করে এলাকায় শান্তি ফেরাতে হবে। যারা হিংসা ছড়ানোর জন্য দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। একইসঙ্গে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের আস্থা ফেরাতে প্রশাসনিক ও সামাজিক পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। এছাড়া যাঁরা এই হিংসার ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, তাঁদের দ্রুত ত্রাণ ও ন্যায়সঙ্গত সহায়তা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
শুভঙ্করবাবু লেখেন, “আমরা আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। কিন্তু বৃহৎ স্বার্থের কথা মাথায় রেখে প্রশাসনের উচিত নিরপেক্ষ ও দায়িত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেওয়া।”
রাজনীতির ময়দানে উত্তেজনার পারদ যখন চড়ছে, তখন কংগ্রেসের এই কড়া বার্তা রাজ্য সরকারের উপর চাপ বাড়াবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।