মৈপিঠে বাঘ বন্দি: আতঙ্কের অবসান,স্বস্তিতে এলাকাবাসী
ইয়ামুদ্দিন সাহাজী,মানুষের মতামত:দক্ষিণ ২৪ পরগনা, মৈপিঠ: সুন্দরবনের দক্ষিণ রায় অবশেষে বনদপ্তরের কৌশলে খাঁচা বন্দি হয়েছে। গত এক সপ্তাহে তিনবার কুলতলী ও মৈপিঠ অঞ্চলে হানা দেওয়া এই রয়েল বেঙ্গল টাইগার গ্রামবাসীদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি করেছিল। বনদপ্তরের একাধিক চেষ্টার পরেও বাঘটি পুনরায় লোকালয়ে ফিরে আসছিল।
৬ জানুয়ারি: কিশোরিমোহনপুর এলাকায় বাঘের পায়ের ছাপ দেখা যায়।
৮ জানুয়ারি: ভোর রাতে বাঘটি জঙ্গলে ফিরে গেলেও পরদিন পুনরায় তার পায়ের ছাপ মেলে।
৯ জানুয়ারি: মৈপিঠের নগেনাবাদে পুনরায় দেখা যায় বাঘের উপস্থিতি।
১০ জানুয়ারি: জাল দিয়ে এলাকাটি ঘিরে ফেলার পর বাঘ আবারও জঙ্গলে ফিরে যায়।
১৩ জানুয়ারি: কিশোরিমোহনপুর এলাকায় গঙ্গার ঘাটে ছাগলকে টোপ হিসেবে ব্যবহার করে বাঘটিকে খাঁচায় আটক করা হয়। বাঘটি ধরা পড়ার পর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভাগীয় বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী জানান, “আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল বাঘটিকে নিরাপদে জঙ্গলে ফেরানো। তবে বাঘের বারবার ফিরে আসা গ্রামবাসীদের আতঙ্কিত করছিল। অবশেষে বিশেষ কৌশলে বাঘটিকে বন্দি করা সম্ভব হয়েছে।”
বাঘ ধরা পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছে পুরো এলাকা। বাসিন্দারা বনদপ্তরকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে বাঘটি নিরাপদে তার নিজস্ব জঙ্গলে ফিরে যাবে। সুন্দরবনের জঙ্গলের অভ্যন্তরে খাবারের ঘাটতির কারণে বাঘ লোকালয়ে প্রবেশ করতে পারে বলে মনে করছেন বন্যপ্রাণ বিশেষজ্ঞরা। স্থানীয় বাসিন্দাদেরও সতর্ক থাকতে এবং বনদপ্তরের নির্দেশ মেনে চলার আহ্বান জানানো হয়েছে।দক্ষিণ রায় খাঁচা বন্দি হলেও সুন্দরবনের বাঘের সঙ্গে মানুষের সহাবস্থান বজায় রাখার দায়িত্ব সকলের। বনদপ্তরের এই দ্রুত পদক্ষেপ এলাকাবাসীর মনে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে সফল হয়েছে।