NewsRecent News

১৬ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জিন সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী ওয়াকফ নিয়ে কী বার্তা দেবেন?

স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:সংসদে পাশ হওয়ার পর দেশজুড়ে কার্যকর হয়েছে ওয়াকফ সংশোধনী আইন। আর সেই আইন ঘিরে রাজ্যে ছড়িয়েছে প্রবল অসন্তোষ ও বিক্ষোভের ঢেউ। মুর্শিদাবাদ থেকে কলকাতার পার্ক সার্কাস, এসপ্লানেড— একাধিক জায়গায় সংখ্যালঘু মানুষজন রাস্তায় নেমে প্রতিবাদে সামিল হয়েছেন। অভিযোগ, এই আইন সংখ্যালঘুদের ধর্মীয় অধিকার এবং তাঁদের মালিকানাধীন ওয়াকফ সম্পত্তির উপর সরাসরি হস্তক্ষেপ করছে। এই পরিস্থিতিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১৬ এপ্রিল নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে আহ্বান করেছেন এক বিশেষ বৈঠক, যেখানে ওয়াকফ ইস্যুতে তিনি সরাসরি বার্তা দেবেন সংখ্যালঘু সমাজের উদ্দেশে।

এই সম্মেলনে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, নাখোদা মসজিদের ইমাম তথা সভার আহ্বায়ক মাওলানা শফিক কাসেমি, মাওলানা বাকি বিল্লাহ -সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের ইমাম, মোয়াজ্জিন ও মুসলিম বুদ্ধিজীবীরা। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই সভার প্রধান বক্তা। আজ এই সম্মেলনকে ঘিরে প্রস্তুতি বৈঠক করেন ফিরহাদ হাকিম এবং সেখানে সাত সদস্যের একটি কোর কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

বৈঠক শেষে ফিরহাদ হাকিম স্পষ্ট জানান, “বাংলায় এই আইন কার্যকর হবে না। বাংলা সর্বধর্মের তীর্থস্থান। কেন্দ্র এই আইন দিয়ে বিভাজন তৈরি করতে চাইছে। এখানে কোনও বিশৃঙ্খলার জায়গা নেই।” তিনি আরও বলেন, “১৬ তারিখের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী ও বিশিষ্টজনদের আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত হবে, কীভাবে এই লড়াই সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত নিয়ে যাওয়া যায়।”

প্রসঙ্গত, তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে ওয়াকফ সংশোধনী আইন চ্যালেঞ্জ করে মামলা করেছেন। তার অনেক আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এই আইনকে তিনি কোনওভাবেই সমর্থন করেন না। এর আগেও নেতাজি ইন্ডোরে ইমাম-মোয়াজ্জিন ও বুদ্ধিজীবীদের সম্মেলনে অংশ নিয়ে ভাতা বৃদ্ধির মতো গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছেন তিনি।

তাই ১৬ এপ্রিলের এই সম্মেলনে মুখ্যমন্ত্রী সংখ্যালঘুদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেন, তা রাজ্যের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *