লন্ডন থেকে ফিরলেন মমতা, বিমানবন্দরে ভিড়,উৎসবের মরসুম যাতে শান্তিতে কাটে সেদিকেই নজর মুখ্যমন্ত্রীর
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত: লন্ডন সফর সেরে শনিবার সন্ধ্যাতেই শহরে ফিরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ এবং শিল্পসচিব বন্দনা যাদব-সহ উচ্চপর্যায়ের এক প্রতিনিধি দলও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। দমদম বিমানবন্দরে মুখ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানাতে বহু সংখ্যক অনুগামী ও দলীয় নেতা-কর্মীর ভিড় দেখা যায়।
এদিন শহরে ফেরা মাত্রই বিমানবন্দর চত্বরে মুখ্যমন্ত্রীর সমর্থনে মুহুর্মুহু স্লোগান ওঠে। যদিও দীর্ঘ বিমানযাত্রার ক্লান্তির ছাপ স্পষ্ট ছিল মুখ্যমন্ত্রীর চোখেমুখে। তিনি হাত নেড়ে অপেক্ষারত জনতাকে অভিবাদন জানান, তবে কোনও রকম মন্তব্য করেন নি। সোজা গাড়িতে উঠে তিনি বিমানবন্দরের বাইরে যান। মনে করা হচ্ছে বিমানযাত্রার ক্লান্তির কারণে সাংবাদিকদের সঙ্গেও তিনি কোনও কথা বলেননি। তবে, সূত্রের খবর, লন্ডন থেকে ফেরার পথে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সফরসঙ্গীদের কাছে এইবারের বিদেশযাত্রার সাফল্য নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে মুখ্যমন্ত্রী কলকাতায় পা রাখার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর কর্মব্যস্ততা শুরু হতে চলেছে। সামনেই ঈদ। প্রতি বছর রেড রোডে ঈদের নামাজে অংশগ্রহণ করেন, এই বছরেও তার ব্যতিক্রম না। সোমবার ঈদ পালিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও সরকারি ঘোষণা এখনও আসেনি। খুব শীঘ্রই তা ঘোষণা হতে পারে। ঈদ মিটতেই কয়েক দিনের মধ্যেই রয়েছে রামনবমী।
এদিকে, প্রশাসনিক সূত্রের খবর, এই দুই ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র করে রাজ্যে অশান্তি পরিবেশ তৈরি হতে পারে, আগেই আশঙ্কা করেছিলেন তিনি। এদিন রাজ্য পুলিশের তরফ থেকে এই আশঙ্কা থেকেই কিছু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর শহরে প্রত্যাবর্তনের কিছু ক্ষণ আগেই কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ সাধারণ মানুষকে এই বিষয়ে সতর্ক করেছে। দেশে ফেরার পর এই বিষয় নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনিক কর্তাদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট নেবেন। তারপর প্রশাসনের তরফ থেকে এই নিয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশিকা জারি করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাজ্যের প্রতিনিধিত্ব করার পর মুখ্যমন্ত্রী বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধান মনোযোগ এখন রাজ্যের আসন্ন উৎসবগুলির দিকে। উৎসবের মরশুমে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা তাঁর অন্যতম প্রধান লক্ষ্য হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। এবার সেই লক্ষ্যেই কাজ শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী।