NewsRecent News

পশ্চিমবঙ্গে ১ কোটি ২৫ লক্ষ শিক্ষার্থীর আধার আপডেট বাকি,নিষ্ক্রিয় হওয়ার আশঙ্কা

জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:পশ্চিমবঙ্গের প্রায় ১ কোটি ২৫ লক্ষ শিক্ষার্থী তাদের বাধ্যতামূলক বায়োমেট্রিক আধার আপডেট (এমবিইউ) করেনি। এর ফলে তাদের আধার কার্ডগুলি কার্যত নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।মিড ডে মিল থেকে শুরু করে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের সুবিধা এবং স্কুল-কলেজের রেজিস্ট্রেশনের জন্য আধার অপরিহার্য।

আধার কর্তৃপক্ষের (ইউআইডিএআই) তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৫ থেকে ৭ বছর বয়সী ৪২ লক্ষ ১৯ হাজার এবং ১৫ থেকে ১৭ বছর বয়সী ৮৩ লক্ষ ৪ হাজার শিক্ষার্থীর বায়োমেট্রিক আপডেট বাকি রয়েছে। এই বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থীর অধিকাংশই ছাত্রছাত্রী।

এই পরিস্থিতিতে রাজ্য শিক্ষা দপ্তর দ্রুত এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের সমস্ত বিদ্যালয়কে বিশেষ নির্দেশ পাঠিয়েছে। স্কুলগুলিতে বিনামূল্যে এই আপডেট করার ব্যবস্থা করা হবে। এই কাজের পদ্ধতি সম্পর্কে জানাতে শিক্ষা দপ্তর বিভিন্ন সমাজমাধ্যমে বাংলা ভাষায় তৈরি ভিডিও রেফারেন্স হিসাবে পাঠিয়েছে। স্কুল পরিদর্শকরাও (এসআই) সেইগুলি বিদ্যালয়ে বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিচ্ছেন।

বিকাশ ভবনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আধার কর্তৃপক্ষের অধীনে থাকা যেকোনো রেজিস্টার বা এনরোলমেন্ট এজেন্সি, যেমন ব্যাংক ও পোস্ট অফিসের মাধ্যমে এই আপডেট করা যাবে। এছাড়াও, প্রতিটি ব্লকে দুটি করে মোট ৬৯০টি আধার এনরোলমেন্ট কিট সরবরাহ করা হবে। এই কাজের জন্য রাজ্য সরকার আধার কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাওয়া ৮ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে।

তবে সূত্র মারফত জানা গেছে, পূর্বে সরবরাহ করা কিটগুলির মধ্যে বেশিরভাগই (৩৪টি ছাড়া) বর্তমানে অকেজো। তাই সেইগুলি বাদ দিয়ে নতুন কিট দেওয়া হবে। যদি কেউ তাদের ফোন নম্বর আপডেট করতে চান, তবে সেই খরচ আধার কার্ডধারীকে বহন করতে হবে।

শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিকরা ইউআইডিএআই-এর দেওয়া এই পরিসংখ্যান নিয়ে কিছুটা সন্দেহ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, গত দুই বছরে বহু শিক্ষার্থীকে বাধ্যতামূলক আপডেটের আওতায় আনা হয়েছে এবং অনেকের নতুন কার্ডও করানো হয়েছে। রাজ্যে আধার কার্ডধারীর সংখ্যা জাতীয় স্তরে বেশ ভালো হলেও, কতগুলি আধার কার্ড বর্তমানে নিষ্ক্রিয় রয়েছে, সেই তথ্য শিক্ষা দপ্তরের কাছেও নেই।

অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের নেতা চন্দন গড়াই সরকারের এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন। তিনি বলেন, স্কুলশিক্ষা ও উচ্চশিক্ষায় আধার এখন অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *