লেদার কমপ্লেক্সের দূষিত কেমিক্যাল মিশ্রিত জলে ক্ষতিগ্রস্ত হাড়োয়া- মিনাখাঁ-সন্দেশখালির মৎস চাষীরা
হাসানুজ্জামান,মানুষের মতামত:হাড়োয়া-মিনাখাঁ-সন্দেশখালি সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মৎস চাষীরা বিদ্যাধরী নদী থেকে জল নিয়ে মাছ চাষ করেন। কিন্তু সম্প্রতি কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সের দূষিত কেমিক্যাল মিশ্রিত জল ও কলকাতার বিভিন্ন পৌরসভার দূষিত জল বাকজোলা খাল হয়ে হাড়োয়ার কুলটি লগ গেট দিয়ে সরাসরি মিশে যাচ্ছে বিদ্যাধরী নদীতে।এর ফলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে এই সমস্ত এলাকার মৎস্য চাষীদের। এই সমস্ত এলাকার অর্থনীতির নির্ভর করে মাছ চাষ ও মাছ ব্যবসায়ের উপরে। কিন্তু সম্প্রতি বিদ্যাধরী নদীতে এই অপরিশোধিত কেমিক্যাল মিশ্রিত জল মিশে যাওয়ায় ব্যাপক পরিমাণে ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে তাদের। যে সমস্ত মাছ তারা ফিশারিতে ছাড়ছেন সেই সমস্ত মাছ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এই কেমিকাল মিশ্রিত জলে। মৎস্য চাষীদের দাবি এই জল পরিশোধন করে নদীতে ছাড়া হোক না হলে আগামী দিনে অর্থনীতিতে ব্যাপক আঘাত আনতে পারে।
এই প্রসঙ্গে “মানুষের মতামত”-র পক্ষ থেকে বিদ্যাধরী নদী বাঁচাও কমিটির সভাপতি গোপেশ পাত্রের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সের দূষিত জল বিদ্যধরী নদীতে পড়ার কারণে প্রাকৃতিক পরিবেশে নদীতে যে বাগদা চিংড়ি সহ একাধিক মাছ জন্মাতো সেটি কোথাও হারিয়ে গেছে এবং বিলুপ্তির পথে চলে গেছে তার পাশাপাশি ক্ষতির মুখে পড়ছে মৎস্য চাষিরা তিনি আরো বলেন এ বিষয়ে স্থানীয় অর্থনীতি ব্যাপক হারে ক্ষতির মুখে পড়ছে পাশাপাশি তিনি আরো বলেন এখন ম্যাচুরি চাষ করতে অনেক টাকা লিজ দিতে হয় জমির মালিকদের কিন্তু তারপরও লাভের মুখ দেখছেন না মৎস্য চাষিরা তিনি আরো বলেন ২০১৮ সালে গ্রীন ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা হয়েছিল যেখানে দাবি উঠেছিল বিদ্যাধরী নদী অবিলম্বে সংস্কার করা হোক এবং কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সের জল বা কলকাতার কোন দূষিত জল যেন বিদ্যাধরী নদীতে না পড়ে কিন্তু তারপরেও কোনো রকমের পদক্ষেপ হয়নি!অভিযোগের সুরে আরো বলেন তারা পলিউশন বোর্ডে গেছেন কিন্তু তারপরেও সেখান থেকেও কোন সমাধান সূত্র বের হয়নি,লকডাউনের সময় বিদাদরী নদী যথেষ্ট স্বচ্ছ ছিল এবং দূষণমুক্ত ছিল কিন্তু লকডাউন পরবর্তী বিদ্যাধরী নদী আবারো দূষণের মুখে! তিনি আরো দাবি করেন কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স সহ একাধিক দূষিত জল শোধন করার পর বিদ্যাদরি নদীতে ফেলা হোক যাতে কোন মৎস্য চাষী ক্ষতির মুখে না পড়ে বা কোনরকম ভাবে বিদ্যাদরী নদী ক্ষতির মুখে না পড়ে পাশাপাশি একই দাবি করেছেন এলাকার বাসিন্দারাও তাদের একটাই দাবি অবিলম্বে দূষণমুক্ত করা হোক বিদ্যাধরী নদী না হলে কোথাও বিলুপ্তির পথে চলে যাবে নদীটি।