আমলা কবি দেবেন্দ্র কুমারের লেখা কবিতার বই “মা Mother” উদ্বোধন করলেন রাজ্যপাল
প্রবীর পাঞ্জা,মানুষের মতামত:যে রাঁধে সে চুলও বাঁধে। এই কথাটা একেবারে অক্ষরে রে অক্ষরে আরো একবার সত্যিই প্রমাণিত করলেন আইএএস ডঃ দেবেন্দ্র কুমার ধোদাওয়াত।
পেশাগতভাবে উচ্চপদস্থ আমলা,বর্তমানে কেরালার অ্যাডিশনাল চিফ সেক্রেটারি পদে কর্মরত বলিষ্ঠ আইএএস ডঃ ধোদাওয়াত। কিন্তু প্যাশন যে লেখালেখি। প্যাশন যাবে কোথায়? এত বড় একজন অফিসার হয়েও প্যাশন কে ভুলতে পারেননি। স্কুলের ম্যাগজিনে লেখালেখি শুরু। তারপর কলেজে উঠেও বিভিন্ন ছোট পত্রপত্রিকায় চালিয়ে যান লেখালেখির কাজ। তার প্রতিভার কথা ছড়িয়ে পড়ে তার বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন ও ব্যাচমেট -কলিগদের মধ্যে! নিজ কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন সাহিত্যিক কর্মকান্ডের সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে রাখতে পছন্দ করেন তাই অবশেষে লিখে ফেললেন একটি সহজ সরল আবেগ নিয়ে ৮৪ টি ছোট্ট ছোট্ট কবিতা নিয়ে একটি কবিতার বই “মা মাদার”! গোটা বইটিতে প্রত্যেকটি কবিতার অন্তর্নিহিত মানে হিসেবে ফুটে উঠেছে জীবনের শুরু থেকে জীবনের শেষ পর্যন্ত সন্তান ও মায়ের মাঝে ঐশ্বরিক ভালোবাসা,ইমোশনাল সম্পর্ক,পারিবারিক সম্পর্ক মাধুর্য,অকৃত্রিম ভালবাসা যা প্রত্যেকের জীবনের অপরিহার্য অংশ।
এদিন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনান্দ বোস ও কেরালার রাজ্যপাল আরিফ খান সহ বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে বঙ্গ রাজভবনে তার এই কবিতার বই “মা Mother ” উদ্বোধন!
উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গের মধ্যে কলকাতার আয়করের প্রিন্সিপাল কমিশনার মনজিৎ সিং,আইআরএস তার বাকপটু বক্তব্যে তুলে ধরেছেন,যে
ধোদাওয়াত তাঁর সংকলন- ‘মা-Mother’-এ ফুলের ভাষা বা অধিবৃত্তীয় অভিব্যক্তি ব্যবহার করা থেকে বিরত রয়েছেন। তাঁর ব্যবহৃত ভাষা সহজ এবং কেউ বলতে পারে মোটা কিন্তু পরিপূর্ণ/উচ্ছ্বাসপূর্ণ অভিব্যক্তিতে পাঠকদের কাঁচা স্নায়ু স্পর্শ করে। আর এখানেই নিহিত রয়েছে এই কবিতা গুলোর শক্তি ও সৌন্দর্য। এই কাব্য সংকলনটি একজন কবির চোখের জলে লেখা স্নেহের বহিঃপ্রকাশ। মায়ের প্রতি স্নেহ প্রকাশের সরলতা আপনাকে অবশ্যই নয়ন দিগোকে সিক্ত করে তুলবে!
মানুষের মতামত’-কে কবি তথা আইএএস দেবেন্দ্র কুমার ধোদাওয়াত জানিয়েছেন,তার সমস্ত কবিতাতে মানুষের মনের কথা-আবেগের কথা। রয়েছে সম্পর্কের কথা। আর তার কবিতা লেখার রসদ হলো দৈনন্দিন জীবনে তার ছোট ছোট পর্যবেক্ষণ। এই অবজারভেশনকেই মূল কেন্দ্র করে এবং বিভিন্ন সামাজিক এবং আত্মিক সম্পর্ককে কেন্দ্র করে তিনি এই কবিতা গুলি লিখে ফেলেছেন পাশাপাশি তিনি আরো বলেন ‘আমি সবাইকে একটি কথা বলব এই হাইটেক ইন্টারনেটের জামানায় বিচ্ছিন্নতার যুগে আমরা সবাই কম বেশি আবেগহীন হয়ে পড়েছি,অনেকেই ভুগছি অবসাদে,আবেগহীনতায় তো এর থেকে বেরিয়ে আসতে গেলে আমাদের সবার মধ্যে আবার সেই পুরানো নিজেদের পারিবারিক,বন্ধুত্ব ও ইমোশনাল সম্পর্ক গুলিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একান্নবর্তী পরিবারের দিকে আমাদের সবাইকে আবারো ফিরতেই হবে’!