বাংলার গর্ব কোনোভাবেই খর্ব হতে দেবো না: সোশ্যাল মিডিয়ায় বিক্ষোভকারীদের জবাব মমতার
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের কেলগ কলেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা ঘিরে তৈরি হওয়া উত্তেজনার রেশ এখনও কাটেনি। সুদূর লন্ডনের আঁচে আজ দিনভর উত্তপ্ত ছিল বাংলার রাজনীতি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা থামাতে এই অপচেষ্টা নিয়ে প্রবল সমালোচনা শুরু হয়। দিনের শেষে বিলেত থেকে দেশে ফেরার আগে মুখ্যমন্ত্রী এক্স হ্যান্ডেলে একটি তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দেন। শুক্রবার লন্ডন থেকে দেশে ফেরার বিমান ধরবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার আগে তিনি লিখলেন,
“বিশ্বের আঙিনায় প্রগতির ধ্বনি
নবজাগরণের সুরে বাজে আগমনী
উন্নয়নের আলো মেঘে ঢাকবে না
মাতঙ্গিনীর বাংলা কভু হারবে না”
তবে এটুকুতেই থেমে যাননি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী আরও একধাপ এগিয়ে তিনি লিখেছেন,
“শৈশবে বাবাকে হারানোর পর থেকে জীবনটা এক দীর্ঘ সংগ্রাম। ছাত্রনেতা হিসেবে, বিরোধী কণ্ঠস্বর হিসেবে, এবং আজকের এক জন-প্রশাসনের প্রধান হিসেবে আমি কখনও লড়াই থেকে পিছিয়ে আসিনি। কেউ যেন বাংলার সাফল্যকে খাটো করতে না পারে, সে চেষ্টা বরদাস্ত করব না। বাংলার অগ্রগতির পেছনে যে ত্যাগ রয়েছে, তা কেউ অস্বীকার করতে পারবে না।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো এক প্রখ্যাত প্রতিষ্ঠানে দাঁড়িয়ে বাংলার উন্নয়ন মডেল তুলে ধরতে পারা আমার জন্য ব্যক্তিগত গর্বের মুহূর্ত ছিল। একাডেমিক ও চিন্তাশীল মহলের স্বীকৃতি পাওয়া, আমাদের এই যাত্রাকে আরও গৌরবান্বিত করেছে। এই অভিজ্ঞতা আমি চিরকাল মনে রাখব।”
মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা রাজনৈতিক মহলে যথেষ্ট গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, অক্সফোর্ডে ঘটে যাওয়া ঘটনার প্রেক্ষিতে মুখ্যমন্ত্রীর এই বার্তা প্রমাণ করে, তিনি বাংলা ও তার সম্মান রক্ষায় আপসহীন। তিনি পরিস্কার জানিয়েছেন, শুধুমাত্র রাজনৈতিক বিরোধিতা নয়, তার গায়ে আঘাত আসলে তিনি আরও দৃঢ়চিত্তে এগিয়ে চলেন। বিরোধিতাই তাঁর প্রেরণা, বাংলার প্রতি তাঁর দায়বদ্ধতাকে আরও জোরদার করে।
বক্তৃতার মঞ্চে মমতা স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন, “এটা রাজনীতির জায়গা নয়। দেশের অপমান করবেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপমান করবেন না।” তাঁর এই বক্তব্যে স্পষ্ট হয় যে, তিনি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মঞ্চে বাংলার ভাবমূর্তি রক্ষায় কতটা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
রাজনীতির ময়দানে এই ধরনের প্রতিবন্ধকতা মুখ্যমন্ত্রীকে থামাতে পারবে না, বরং আরও অনুপ্রাণিত করবে—এটাই ছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এক্স হ্যান্ডেল বার্তার মূল সুর। দেশে ফেরার মুহূর্তে দেওয়া এই বার্তা বাংলার ভবিষ্যৎ রাজনীতির গতিপথ নির্ধারণে বড় ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা।