পিকনিকের মরশুমেও কম দামে মুরগির মাংস,কেমন করে সম্ভব?
স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:শীতের স্নিগ্ধতায় পিকনিকের মরশুম চলছে, আর সাধারণত এই সময় মুরগির মাংসের দাম বাড়ার কথা। কিন্তু কলকাতা শহর থেকে শুরু করে শহরতলি এবং গ্রামীণ এলাকাতেও মুরগির মাংস পাওয়া যাচ্ছে একেবারে জলের দরে। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি অনুযায়ী, মুরগির মাংসের দাম প্রতি কেজি ১৪০ থেকে ১৬০ টাকার মধ্যে সীমাবদ্ধ, যা মরশুমের চাহিদার তুলনায় বেশ কম।
ব্যবসায়ীদের মতে, দাম কম থাকার প্রধান কারণ চাহিদার তুলনায় যোগানের পরিমাণ অনেক বেশি। বিগত কয়েক মাসে মুরগির খামারের উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি, শীতকালে সবজি এবং মাছের সরবরাহও বেশি থাকায় মানুষের খাদ্যাভ্যাসে বৈচিত্র্য এসেছে। ফলে মুরগির মাংসের চাহিদা তুলনামূলক কম।
অন্যদিকে, শহর এবং গ্রামীণ এলাকাগুলিতে একই দামে মাংস বিক্রি হওয়ার পেছনে পরিবহণ খরচ এবং মধ্যস্বত্বভোগীদের ভূমিকা কমে যাওয়া অন্যতম কারণ। সরাসরি খামার থেকে পাইকারি বাজারে মাংস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা হওয়ায় দাম নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।সস্তায় মাংস পাওয়ায় সাধারণ মানুষ দারুণ খুশি। বিশেষত, পিকনিক বা পারিবারিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করার ক্ষেত্রে এই দাম অত্যন্ত সুবিধাজনক।
তবে কিছু ক্রেতা মাংসের গুণগত মান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। অনেকে মনে করছেন, অতিরিক্ত সরবরাহের কারণে মানের সঙ্গে আপস করা হচ্ছে। পিকনিকের মরশুমেও মুরগির মাংসের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকায় ক্রেতারা উপকৃত হলেও উৎপাদকদের জন্য এটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভবিষ্যতে চাহিদা ও যোগানের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখতে প্রয়োজন আরও সুসংগঠিত বাজারব্যবস্থা।