নেপালে ওলির চীনপন্থী মনোভাব
নেপালে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এবার কেপি এস ওলির চীনপন্থী কমিউনিস্ট সরকারের সঙ্গে তাদের সমর্থক দল নেপালি কংরেসের সঙ্গে সংঘাত বাড়ায় উদ্বেগেই নয়াদিল্লীর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক কর্তারা।নেপালের মাওবাদী সেন্টারের শীর্ষ নেতা প্রচন্ড কে হারিয়ে ওলি নেপালি কংগ্রেসের সাহায্যে ক্ষমতা দখল করেন। নেপালি কংগ্রেস ও নেপালি কমিউনিস্ট দলের যে রাজনৈতিক সমঝোতায় ওলি আবার প্রধানমন্ত্রী হন, সেই সমঝোতাকেই এখন বুড়ো আঙ্গুল দেখাতে চাইছেন ওলি । তলায় তলায় চীনের পরামর্শে মাওবাদী সেন্টারের নেতা প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী প্রচন্ডের সঙ্গে সমঝোতার চেষ্টা চালাচ্ছেন বলে খবর।
তাতে যে সাউথ ব্লকের কূটনীতি আবার ঘা খেতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য।
নেপালে কমিউনিস্ট পারটি ও নেপাল কংগ্রেসের নতুন সরকার গঠনের পর নেপালের চীনপন্থী ঝোঁক ও নয়াদিল্লীর বিরোধিতার রাজনীতি অনেকটাই কমবে বলে আশায় ছিলেন সাউথ ব্লকের রাজনৈতিক প্রশাসনিক ও কূটনৈতিক কর্তারা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে কে পি এস ওলির ও তার চীনপন্থী সংযুক্ত কমিউনিস্ট পার্টির রহস্যজনক ভূমিকায় চিন্তার ছাপ পড়েছে নয়াদিল্লীর সাউথ ব্লক কর্তাদের। নেপালে রাজতন্ত্রের উচ্ছেদ ও কমিউনিস্ট খমতা দখলের পর থেকে চিন্তায় বিজেপি।
কিন্তু সাউথ ব্লকেরও এই দেশের নিরাপত্তা এজেন্সি গুলির কর্তারা ও এমনকি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালও ওলির রহস্যজনক ভূমিকায় ধন্দে রয়েছেন। ওলি কারনে ভারত বিরোধিতা পরিহার করলেও তাঁর চীন ঘেঁষা মানসিকতার পরিবর্তন ঘটেছে এমনটা মনে করছেন না সাউথ ব্লকের প্রশাসনিক কূটনৈতিক কর্তাদের এক বড় অংশ।