NewsPolitics

বিহারে জোটের চাবিকাঠি লালুপ্রসাদ যাদবের হাতে?

 

প্রবীর পাঞ্জা,মানুষের মতামত:২৫-এর শেষে হিন্দি বলয়ের গুরুত্বপূর্ণ রাজ্য বিহারে বিধানসভার নির্বাচন। নীতিশ কুমার-চিরাগ পাসোয়ান-জিতন রাম মাঝিদের পেয়ে এই মুহুর্ত্যে বিজেপির এনডিএ জোট যথেষ্ট বলিয়ান। বিহারে লোকসভায় নির্বাচনেও ভাল ফল করেছে বিজেপির এন ডি এ জোট।
এর প্রেক্ষিতে বিহারে ইন্ডিয়া জোটের চাবিকাঠি কার্যত রাষ্ট্রীয় জনতা দলের সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের কাছে চলে গেছে। এখন থেকেই লালুপ্রসাদ যাদব কংগ্রেস দল ও গান্ধী পরিবারকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছেন। ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতৃত্বে আনা উচিত বলে মন্তব্য করে লালুপ্রসাদ যাদব যে কংগ্রেস তথা তাদের চালিকা শক্তি গান্ধী পরিবারের ওপর চাপ বারানোর নীতি নিয়ে চলতে চাইছেন তা নিয়ে নিশ্চিত দেশের রাজনৈতিক মহল।
বিহারে এন ডি এ জোটকে হারিয়ে ক্ষমতায় ফিরতে চান লালুপ্রসাদ যাদব। তার পুত্র তেজস্বী যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করারই তাঁর লক্ষ্য। এজন্য কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার নীতি নিয়ে অলতে চাইছেন লালুপ্রসাদ যাদব। কংগ্রস, সি পি আই, সি পি এম, সি পি আই(এম এল)-লিবারেশনকে জোট বাঁধতে তৎপর লালুপ্রসাদ যাদব। বিহারে ইন্ডিয়া জোটের বড় শরিক অবশ্যই রাষ্ট্রীয় জনতা দল। লালুর কৌশল ২৪০ আসনের ১৭০-৭৫ টি আসনে লড়াই দেওয়া। এই লক্ষ্যে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে কংগ্রেস-গান্ধী পরিবার। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়া জোটের নেত্রী করার দাবি তুলে কংগ্রেস-গান্ধী পরিবারকে চাপে ফেলতে চাইছেন লালুপ্রসাদ যাদব।
বিহারে ইন্ডিয়া জোট শরিকরা ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার প্রস্তুতি চালাচ্ছে। যদিও বিহারে সমাজবাদী পার্টি, আম আদমি পার্টির এতে যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা তেমন নেই বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক ভাষ্যকাররা। লালু তার ঘনিষ্ঠ মহলে সিপি আই(এম এল)-লিবারেশনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্চছেন বলেই খবর।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *