NewsPolitics

বিদেশ নীতি নিয়ে মোদিকে চাপে ফেলতে মরিয়া কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোট

 

দিলীপ চট্টোপাধ্যায়,মানুষের মতামত:বর্তমানে ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক ভালো নয় প্রতিবেশী দেশগুলির। কোথাও ভারতের বন্ধু দেশ বা সরকার নেই। ৪৭ সালের দেশ ভাগ থেকেই ভারতের শত্রু পাকিস্তান। ইদানিং নেপালে মাওবাদী চীনপন্থী কমিউনিষ্ট দেশ ওলির সরকারের ভূমিকায় স্বস্তিতেই নেই মোদী-জয়শংকররা।

আফগানিস্থানে তালিবানদের ক্ষমতা দখলের পর কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই কাবুল-নয়াদিল্লির। যদিও তালিবানিরা নয়াদিল্লির সঙ্গে বন্ধুত্বের বার্তা দিয়েছে। কিন্তু তালিবানের অত্যাচার, নারীদের ঘরবন্দী করে তাদের স্বাধীনতা কাড়ার পর ভারত কাবুলের মিত্র হতে চেষ্টা চালায়নি। অতি সম্প্রতি শ্রীলংকায় চীনপন্থী-ট্রটষ্কীপন্থী-বামপন্থী রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর কলম্ব নিয়ে বিদেশ দপ্তরের উদ্বেগ বেড়েছে। শ্রীলঙ্কা চীনের কাছাকাছি আসতে তৎপরতা শুরু করেছে।

মালদ্বীপেতো চীনপন্থীরাই ক্ষমতায়। তাদের নয়াদিল্লি ম্যানেজ করার চেষ্টা চালালেও তাঁর কোন ইতিবাচক ইঙ্গিত এখনও পাওয়া যায় নি।

মায়ানমারে ক্ষমতাসীন সামরিক জুন্টা সরকারের সঙ্গে নয়াদিল্লি দোস্তির চেষ্টা চালানেও তাতে ইতিবাচক ফল মেলে নি। মায়ানমারে চীনও প্রভাব বাড়াতে চাইছে। এদিকে জুণ্টা বিরোধী আরকান আর্মি বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার সীমান্তে বাংলাদেশের ত্রাস হয়ে উঠেছে। মায়ানমার নিয়েও সিদ্ধান্ত হীনতায় ভুগছে নয়াদিল্লি এমনটাই অভিযোগ।

এদিকে বাংলাদেশে পটপরিবর্তনের পর ঢাকা এখন পাকিস্তানময় হয়ে উঠেছে। সাবেক পুর্ব পাকিস্তানের ছবি উঠে এসেছে জামাত ও বিএনপির ভারত বিরোধী পাকিস্তানপন্থী অবস্থানে। বাংলাদেশের বর্তমান তদারকি সরকার যে ভাবে ভারত বিরোধী পাকিস্তানপন্থী অবস্থান নিয়ে চলেছেন তাতে নয়াদিল্লির বিদেশ নীতির যথার্থতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেস সহ ইন্ডিয়া জোটর নেতারা।

মোদী সরকারের বিদেশ সংক্রান্ত দক্ষিণ এশিয়া নীতি নিয়ে কংগ্রেস চাপ বাড়াতে তৎপর। ফলে ঘরে-বাইরেই চাপে পড়েছেন নরেন্দ্র মোদী-জয়শংকররা।এমনটাই মনে করছেন দেশের কূটনৈতিক মহল।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *