২৫শে ডিসেম্বর উপলক্ষে পর্যটকদের ঢল নেমেছে পাহাড়ে কিন্তু গাড়িচালকদের বিরুদ্ধে দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকানোর অভিযোগ,জরুরী প্রশাসনের পদক্ষেপ
কুশল দাশগুপ্ত,মানুষের মতামত:শৈল শহরে এবার কাঞ্চনজঙ্ঘার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পর্যটকদের ঢল নেমেছে দার্জিলিংয়ে। বড়দিনের আগে কলকাতা তো বটেই,দেশের নানা প্রান্ত থেকে প্রকৃতিপ্রেমিকরা এসে নামছেন এনজেপিতে।এরপর পাড়ি দিচ্ছেন শৈলশহরে। আর এই সুযোগে একশ্রেণির গাড়িচালক দ্বিগুণ ভাড়া হাঁকছেন বলে অভিযোগ। যা নিয়ে পর্যটকদের অনেকেই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যদিও বেশি ভাড়া চাওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছে গাড়িচালকদের সংগঠন।
পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহ দার্জিলিং সহ পাহাড়ের হোটেলগুলিতে বুকিং প্রায় শেষ।২০ ডিসেম্বর থেকেই পাহাড়মুখী হয়েছেন এরাজ্যের তো বটেই ভিনরাজ্যের পর্যটকরাও। তবে তাঁদের মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে গাড়িভাড়া।আজ সকালে কাকদ্বীপের বাসিন্দা মহীতোষ চক্রবর্তী পরিবার নিয়ে নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নামেন। গন্তব্য দার্জিলিং। শৈলশহরে যাওয়ার জন্য গাড়িভাড়া নিয়ে চালকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন মহীতোষ। কিন্তু চালকরা যা ভাড়া হাঁকেন, তা শুনে রীতিমতো হতাশ তিনি। শেষে সাড়ে ৪ হাজার টাকায় রফা হয়। মহীতোষ আক্ষেপের সুরে “মানুষের মতামত” কে জানান,’এমনি সময় তো দুই বা আড়াই হাজার টাকাতেই দার্জিলিংয়ে যাওয়া যায়। কিন্তু আজ প্রায় দ্বিগুণ গাড়িভাড়া চাইল।’ অন্যদিকে আবার পরিবারকে নিয়ে এবারের বড়দিন শৈলশহরে কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন সুমনা সরকার। সেই মতো কলকাতা থেকে বাসে এদিন জংশনে নামেন তিনি। গাড়িভাড়া করতে গিয়ে তিনি চালকের সঙ্গে রীতিমতো বচসা বাধিয়ে ফেলেন। সুমনার অভিযোগ, দার্জিলিংয়ে যাওয়ার জন্য তাঁর কাছে ৭ হাজার টাকা চাওয়া হয়।পরে অবশ্য সাড়ে ৫ হাজার টাকায় যেতে রাজি হন গাড়িচালক।ঘটনায় বিরক্ত সুমনা “মানুষের মতামত” কে অভিযোগ করেন,‘ন্যায্য ভাড়া না নেওয়া হলে কিন্তু পর্যটকরা এখান থেকে মুখ ফেরাবেন। প্রশাসনেরও বিষয়টি দেখা প্রয়োজন।