ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট: কেবল দুজন নয় আরো রাঘব বোয়াল আছে মনে করছে নবান্ন
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট কেলেঙ্কারিতে কেবলমাত্র দুজন নয় আরো নাম রয়েছে মনে করছে রাজ্যের প্রধান প্রশাসনিক ভবন নবান্ন। ইতিমধ্যেই দপ্তরের তরফ থেকে তদন্তে দুজনের বিরুদ্ধে যুক্ত থাকার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দপ্তর। শোকজের পাশাপাশি এদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে। কিন্তু কেবল দুজনের মাধ্যমে এত বড় কেলেঙ্কারি করা সম্ভব নয় মনে করছে নবান্ন। আর তাই এই বিষয় নিয়ে আরো তলিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
রাজ্যের অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের এক আধিকারিক এর কথায়, বিষয়টিকে অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারেই দেখছে রাজ্য সরকার। কারণ এই কাস্ট সার্টিফিকেটের সঙ্গে হাজার হাজার মানুষের ভাগ্য জড়িয়ে রয়েছে। তাই কোনভাবেই যারা এই দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত তাদের ছেড়ে দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, রাজ্যে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট জালিয়াতির ঘটনা নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অনগ্রসর শ্রেণী কল্যাণ দফতরের তদন্তে প্রকাশ পেয়েছে, গত দেড় বছরে ১৪০০ ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট বাতিল করা হয়েছে। অভিযোগ, এই শংসাপত্রগুলি জাল করে বহু মানুষ সংরক্ষণের সুবিধা নিয়েছেন, যা সম্পূর্ণ বেআইনি।
গত কয়েক বছরে ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যু নিয়ে প্রায় ৩৬ হাজার অভিযোগ জমা পড়ে। যাচাই-বাছাইয়ের পর দেখা যায়, বেশিরভাগ ভুয়ো শংসাপত্র দু’বছর বা তার আগের ইস্যু করা। আগে হাতে সই করা শংসাপত্র দেওয়া হলেও, দু’বছর আগে থেকে রাজ্য সরকার কিউআর কোডযুক্ত ডিজিটাল কাস্ট সার্টিফিকেট চালু করে। তদন্তে উঠে এসেছে, পুরনো হাতে সই করা শংসাপত্রের ফাঁকফোকর কাজে লাগিয়ে এই জালিয়াতি চালানো হয়েছিল।
ভুয়ো শংসাপত্র তৈরির অভিযোগে ইতিমধ্যেই দুই সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, আরও কয়েকজন আধিকারিক এই জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকতে পারেন বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে রাজ্য সরকার, এবং নবান্ন বিষয়টি নিয়ে বিশেষ নজরদারি চালাচ্ছে।
রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দফতর ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বারবার অভিযোগ এসেছিল যে, ভুয়ো কাস্ট সার্টিফিকেট জমা দিয়ে সংরক্ষণের সুবিধা নেওয়া হচ্ছে। তদন্তের পর দেখা যায়, বহু শংসাপত্রে জাল স্বাক্ষরের মাধ্যমে প্রতারণা করা হয়েছে।
এই ঘটনা সামনে আসার পর, রাজ্য সরকার আরও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সরকার আশ্বাস দিয়েছে, ভবিষ্যতে যাতে এমন জালিয়াতি আর না হয়, সেজন্য কাস্ট সার্টিফিকেট ইস্যুর প্রক্রিয়াকে আরও কড়াকড়ি করা হবে এবং দোষীদের কঠোর শাস্তির মুখে পড়তে হবে।