ট্রাম্পের জয়ের কতটা প্রভাব পড়তে চলেছে দক্ষিণ এশিয়ায়?
স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:নভেম্বরে মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ট্রাম্পের জয়। এই নির্বাচনের ট্রাম্পের জয়ের প্রভাব পড়তে চলেছে ভারত, বাংলাদেশ,পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল,মায়ানমার, আফগানিস্থান সহ সমগ্র দক্ষিণ এশিয়ায়। বাংলাদেশে প্রমাদ গুণছে ইউনুস সরকার। মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক পার্টির কমলা হ্যারিস ও রিপাবলিকান পার্টির ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বৈরথের দিকে ছিল তাকিয়ে সমগ্র বিশ্ব। শেষ পর্য্যন্ত ট্রাম্পের জয়ে স্বাভাবিক ভাবে দক্ষিণ এশিয়া-ভারতেও এর প্রভাব পড়েছে। মোদী প্রশাসন উল্লসিত ট্রাম্পের জয়ে।
ডেমোক্র্যাট জো বাইডন মার্কিন রাষ্ট্রপ্রধান হওয়ার পর থেকে ভারতে মোদী সরকারের ওপর নানা দিক দিয়ে চাপ বাড়ছিল। বিশেষ করে কানাডা ও মার্কিন প্রশাসন খালিস্থান ইস্যুতে মোদি সরকারের ওপর চাপ বাড়িয়েছে। একই ভাবে কংগ্রেস ও ইন্ডিয়া জোট সম্পর্কে নরম মনোভাব নিয়েছিল মার্কিন প্রশাসন।
জো বাইডন স্নায়ুর রোগে কাহিল। তাই হোয়াইট হাউজের শীর্ষ আমলারা সি আই এ ও এফ বি আই কর্তাদের নিয়ে নানা প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে চলেছেন। ভারত ও বাংলাদেশে তাদের নেতিবাচক নীতিতে প্রভাব পরছে। ট্রাম্প আসায় স্বস্তিতে মোদী।
ট্রাম্প আসায় বাংলাদেশে চলমান জাতি সংঘাত ও চরমপন্থীদের রমরমায় অবসানের সম্ভাবনা দেখছে দিল্লি। বাইডন আমলে মোদী সরকারের ওপর মার্কিন প্রশাসন ও সি আই এ চাপ বাড়ানোয় খুশি হয়েছিলেন মোদী বিরোধী কংগ্রেস-ইন্ডিয়া জোট নেতারা। জর্জ সোরেস এর মত মার্কিন ধনকুবেররা নানা ভাবে কংগ্রেসকে সহায়তা দিয়েছে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে শেখ হাসিনা সরকার উচ্ছেদে মার্কিন প্রশাসন-সি আই এস ভূমিকা প্রকাশ্যেই এসেছে। অতীতে ১৯৭৫ সালেও বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান হত্যাকান্ডে সি আই এর ভূমিকা সুবিদিত। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে মার্কিন সামরিক ঘাটি তৈরিতে শেখ হাসিনা রাজি না হওয়াতেই যে তাকে উচ্ছেদ করা হয়েছে তা নিয়ে একমত রাজনৈতিক মহল। ট্রাম্প আসায় বাংলাদেশে ভারত বিরোধী পাকপন্থীরাও যে কোণঠাসা হবেন তা বলাই বাহুল্য।
ডেমোক্র্যাটরা কখনই ভারতপ্রেমী ভূমিকা নেয় নি। বাইডন জামানাতেও সেই মনোভাবের প্রতিফলন ঘটছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শুধু ভারতই নয়, বাংলাদেশ, পাকিস্থান, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, মায়ানমার, আফগানিস্থান, মালদ্বীপ সর্বত্র মার্হিন প্রশাসন ও সি আই এ ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে মার্কিন প্রভাব বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে এসেছেন। ট্রাম্প জমানায় দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন নীতির পরিবর্তন অনিবার্য হয়ে উঠছেন।
এরই প্রেক্ষিতে নয়া মার্কিন রাষ্ট্রপতি ট্রাম্পের নির্বাচন, তার অভিষেক গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে চলেছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন যে, মার্কিন রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাচিত হওয়ায় দক্ষিণ এশিয়ায় মার্কিন নীতির আমূল পরিবর্তন ঘটে যাবে। এখন বর্তমান মার্কিন প্রশাসন ও সি আই এস কালো তালিকায় থাকা নরেন্দ্র মোদী, শেখ হাসিনা, ইমরান খান প্রমুখরা আবার সামনের সারিতে চলে আসবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্পের জয় চেয়েছিলেন মোদী, হাসিনা, ইমরানরা এমনটাই মনে করা হচ্ছে। যদিও এই সব কাল্পনিক মুল্যায়নকে পাত্তা দিতে চায় না নয়াদিল্লির সাউথ ব্লকের কর্তারা। তাদের সাফ কথা যারাই ক্ষমতার আসুন নয়াদিল্লি মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে বর্তমান বন্ধুত্ব ও মৈত্রীর সম্পর্ক অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশ নিয়ে অবশ্য নয়াদিল্লির চিন্তা যে সংরক্ষিত রয়েছে তা বলাই বাহুল্য। ট্রাম্পের অভিষেকের পর ঢাকার চরম মৌলবাদীরা যে প্রবল চাপে পড়বেন তা কার্যত নিশ্চিত। দিল্লি তাই ট্রাম্পের রাষ্ট্রপতি পদে অভিষেক নিয়ে দিন গুণতে শুরু করেছে।