NewsPolitics

বেআইনি নির্মাণ ভাঙায় গড়িমসি বরদাস্ত নয় পুরসভার! কঠোর অবস্থান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের 

প্রবীর পাঞ্জা,মানুষের মতামত:কলকাতা শহরে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও নির্মাণস্থলে গর্ত করে ফেলে রেখে দেওয়া হচ্ছে। ঠিকাদারদের এই ধরনের কৌশল ও অসাধু পদ্ধতির বিরুদ্ধে কড়া অবস্থান নিয়েছেন কলকাতার মেয়র।

 

ফিরহাদ হাকিম জানান,বহু বছর ধরে অনেক বেআইনি বাড়ি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, কিন্তু তা কার্যকর হচ্ছে না। ঠিকাদাররা শুধু আংশিকভাবে গুঁড়িয়ে দিয়ে গর্ত রেখে দিচ্ছেন, যা এলাকায় বিপজ্জনক পরিস্থিতি তৈরি করছে। প্রশাসন চাইছে, এই ধরনের অনিয়মের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হোক। শুধুমাত্র নির্দেশ জারি করলেই হবে না, কার্যকর করা এবং নজরদারি বাড়ানো দরকার। এই প্রসঙ্গে মেয়র জানান, পুরসভা এবার থেকে নিয়ম মেনে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ করবে এবং যদি কেউ নিয়ম মানতে না চান, তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এছাড়াও,সমস্ত বস্তিকে এবার থেকে ঠিকা টেন্যান্সির অধীনে আনা হবে। এর ফলে, বস্তিবাসীদের ভবিষ্যত আরও সুরক্ষিত হবে। মেয়র আশ্বস্ত করেছেন,রাজ্য সরকারের “বাংলার বাড়ি” প্রকল্পের মাধ্যমে বস্তিবাসীদের জন্য স্থায়ী আবাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ফলে, বস্তিবাসীদের আর কোনও প্রোমোটারের খপ্পরে পড়তে হবে না। প্রোমোটারদের অবৈধ দখলদারি ও মুনাফার জন্য বস্তিবাসীদের উচ্ছেদ করার প্রবণতা বন্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

মেয়র আরও বলেন, এখন থেকে আবাসন তৈরির সমস্ত কাজ “রেরা” (Real Estate Regulatory Authority) -র অধীনে আসা উচিত। কেউ যদি রেরার মাধ্যমে বিচার না পায়, তাহলে তিনি ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হতে পারবেন।

মেয়রের সাম্প্রতিক ঘোষণাগুলি থেকে স্পষ্ট যে কলকাতা পুরসভা শহরের উন্নয়ন এবং নাগরিক সুবিধা বাড়াতে আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। বেআইনি নির্মাণের বিরুদ্ধে প্রশাসনের কঠোর অবস্থান, বস্তিবাসীদের সুরক্ষা, আবাসন খাতে স্বচ্ছতা, পরিচ্ছন্নতার ওপর গুরুত্ব এবং পরিবেশ সংরক্ষণের উদ্যোগ—সব মিলিয়ে কলকাতার নাগরিকদের জন্য এটি এক ইতিবাচক বার্তা।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *