ঈদের দাওয়াতে ফিরহাদের বাড়িতে অভিষেক,ঐক্যবদ্ধ হয়ে চলার বার্তা দলের?
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত: ঈদের দিন তৃণমূলের পুরমন্ত্রী ও কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের বাড়ির দাওয়াতে হাজির হলেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এক বছর পর এই উপস্থিতি রাজনৈতিক মহলে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
গত কয়েক মাস ধরে তৃণমূলের অন্দরে ‘নবীন’ ও ‘প্রবীণ’ নেতৃত্বের টানাপোড়েন নিয়ে নানা আলোচনা হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে দলের একটি বড় অংশ সংগঠন-কেন্দ্রিক সংস্কারের পথে এগোলেও, ফিরহাদ হাকিম সহ একাধিক পুরনো নেতা প্রশাসনিক কাজে বেশি সক্রিয় ছিলেন। এই প্রেক্ষাপটে একাধিকবার অভিষেক অনুগামীদের তরফে পুরসভা ও বিভিন্ন দফতরের কাজ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভও দেখা গিয়েছে। এমনকি মেয়রের একান্ত সচিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের নিয়েও দলীয় অন্দরে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল।
তবে ঈদের অনুষ্ঠানে অভিষেকের উপস্থিতি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে যে,দলীয় শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে দূরত্ব কমছে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন, সাংসদ পার্থ ভৌমিক, কুণাল ঘোষ-সহ একাধিক নেতা।
দলীয় সূত্রে খবর, ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতির অংশ হিসেবেই তৃণমূল এখন একতাবদ্ধ হয়ে বার্তা দিতে চাইছে। মাসখানেক আগে নেতাজি ইন্ডোরে দলের মহাসভায় অভিষেক ‘একসঙ্গে কাজ করার’ কথা বলেছিলেন। পরে মার্চ মাসে ভার্চুয়াল বৈঠকে সুব্রত বক্সী তাঁকে “সকলের নেতা” বলে উল্লেখ করেন। সেই ধারাবাহিকতায় ঈদের এই ছবি দলীয় ঐক্যের একটি প্রতীক বলেই মনে করছে তৃণমূল নেতৃত্ব।
উল্লেখযোগ্য ভাবে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিগত বছর ফিরহাদ হাকিমের ঈদের দাওয়াতে যাননি। এবছর তাঁর উপস্থিতি নতুন করে দলীয় সমন্বয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল এখন স্পষ্টভাবে দলীয় ঐক্যের ছবিই তুলে ধরতে চাইছে, যার পিছনে রয়েছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি।