NewsPolitics

শাসকদলের “ঘুমন্ত” ছাত্র যুব সংগঠন নিয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়

নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:অক্সফোর্ডে এসএফআইয়ের জনাছয় সদস্য যেভাবে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অপমান করার চেষ্টা করেছেন তা নিয়ে সরব হয়েছেন অনেকেই। কিন্তু এই অবস্থায় সেভাবে সক্রিয় ভাবে প্রতিবাদে দেখা যায়নি শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র এবং যুব সংগঠনকে। শাসক দলের ছাত্র ও যুব সংগঠনের এই নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। লন্ডনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তৃতা চলাকালীন যে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তা নিয়ে দলের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ার বাইরে কোনও দৃশ্যমান প্রতিবাদ না হওয়ায় হতাশ তিনি।

কল্যাণবাবুর অভিযোগ, দলনেত্রীকে বিদেশে অপমান করার পরেও ছাত্র ও যুব সংগঠন রাজপথে নামেনি, প্রতিবাদ জানায়নি। বরং তারা শুধু ফেসবুক বা টুইটারে কিছু পোস্ট করেই দায়িত্ব শেষ করেছে। এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে প্রশ্নের মুখে কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ওরা ঘুমিয়ে আছে। ওদের ঘুমোতেই দিন। যারা ঘুমিয়ে রয়েছে, তাদের আর জাগিয়ে লাভ নেই।”

তিনি আরও জানান, ছাত্র-যুবদের নিজে থেকে কিছু করার ক্ষমতা নেই বলেই মনে হয়। তাঁর মতে, দলের নবীন প্রজন্ম যে নিস্ক্রিয় হয়ে পড়েছে, তা দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।

এর আগেও আর জি কর হাসপাতাল সংক্রান্ত ঘটনার সময় ছাত্র ও যুব সংগঠনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার অক্সফোর্ড কাণ্ডেও একই রকম ‘নীরবতা’ দেখে তাঁর হতাশা আরও বেড়েছে।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাষণ চলাকালীন জনা ছয়েক এসএফআই সমর্থক বিক্ষোভ দেখায়। যদিও তাদের ওই প্রচেষ্টা বিশেষ কাজে আসেনি। মুখ্যমন্ত্রী দৃঢ়ভাবেই বক্তৃতা চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে এই ঘটনার রাজনৈতিক অভিঘাত যে দেশে ফিরেও তীব্র হবে, তা স্পষ্ট কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যে। ছাত্র ও যুব সংগঠনের এই ‘ঘুমন্ত’ অবস্থাকে ঘিরেই শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *