বিজেপিকে আটকাতে কোমর বেঁধে নামছে বামেরা
প্রবীর পাঞ্জা,মানুষের মতামত:বিজেপির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাঠে নেমে পড়েছে বামেরাও।
২০২৬-এ পশ্চিমবঙ্গের পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনের এক বছর আগেই যেমন শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও প্রধান বিরোধী দল বিজেপির অতি সক্রিয়তা, প্রচার, পাল্টা প্রচার বাড়ছে। এরই মধ্যে রাজ্যের বামপন্থী-অতি বামপন্থী, এমন কি মাওবাদী ও একাধিক ইসলামিক গোষ্ঠী বিজেপির মত ‘ধর্মীয় ফ্যাসিবাদী’ শক্তিকে যে কোন মূল্যে প্রতিরোধের ডাক দিয়ে প্রচার-জনসংযোগে নামছে।
শোনা যাচ্ছে যে, অতীতের মত ২৬-এর নির্বাচনের আগে রাজ্যে বিজেপি-আর এস এসকে প্রতিহত করতে ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ‘ডিফিট বিজেপি’ স্লোগান সামনে রেখে সংগঠিত হতে চাইছেন। এর মধ্যে নকশালপন্থী-মাওবাদী সহ একাধিক সংগঠন, সি পি এম, লিবারেশন, এস ইউ সির মতো শক্তিগুলি থাকতে চলেছে। এ ছাড়া কিছু এন জি ও এই প্রচারে অগ্রনী ভূমিকা নিতে পারেন। এব্যাপারে তৃণমূল কংগ্রেস নিঃশব্দে পর্যবেক্ষণ করে চলেছেন। ২১-এ ‘নো ভোট টু বিজেপি’ ২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে ‘ডিফিট বিজেপি’ স্লোগানে অনেক বাম-অতি বামেরা বিজেপিকে হারাতে তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থন করেছিল।
২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনেও একই মোডে বিজেপি-আর এস এস বিরোধী হাওয়া তুললে তাতে যে আখেরে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক লাভ। তৃণমূলের অভ্যন্তরে যারা এস ইউ সি , নকশাল গোষ্ঠী, এমন কি সি পি এম থেকে আসা নেতা-কর্মীরা এই বিজেপি হারাও-এর উদ্যোগে খুশি। তারাও চান বাম-অতি বামপন্থী শিবির এখন থেকেই এনিয়ে প্রচারে নেমে বিজেপির পরাজয় নিশ্চিত করতে উদ্যোগী হন।
বিজেপির তরফে অবশ্য’নো ভোট টু বিজেপি’ প্রচার নিয়ে তেমন হেলদোল নেই। বিজেপি নেতাদের দাবি এটা প্রত্যাশিত ঘটনা। বাম-অতি বামেরা যে তৃণমূল কংগ্রেসকে ফের ক্ষমতায় আনতে তাদের মত করে রাজনৈতিক কৌশল নেবে তা নিয়ে তারা নিশ্চিত। এটাই বাম-অতি বামেদের কাছে প্রত্যাশিত। তাদের সঙ্গে যে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের গোপন মিতালি আছে তা নিয়ে তারা নিশ্চিত। বিজেপির দাবি, বাম-অতি বামেরা রাজ্যে অপ্রাসঙ্গিক শক্তি। কাজেই তাদের নিয়ে চিন্তা নেই গেরুয়া শিবিরের।