NewsRecent News

নার্সিং-প্যারা মেডিক্যাল ট্রেনিং দেবে কেএমসি

নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:রাজ্য সরকার জনসাধারণের স্বার্থে একের পর এক বড় উদ্যোগ নিয়েই চলেছে। বাদ যায়নি দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ারাও। তাদের শিক্ষার যাতে কোনরকম ত্রুটি যাতে দেখা না যায় তার জন্য চালু করা হয়েছে

কন্যাশ্রী, সবুজ সাথী প্রকল্প এবং বিভিন্ন সরকারি স্কলারশিপ। যার দরুন বিনা ঝঞ্ঝাটে দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ারা শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে চলেছে। আর এই আবহে এবার দরিদ্র শ্রেণীর মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য এক বড় সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে কলকাতা পুরসভা। নার্সিং ট্রেনিং এবং প্যারা-মেডিক্যাল ট্রেনিং স্কুল চালু করতে চলেছে কলকাতা পুরসভা।

কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্যবিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, আলিপুর-চেতলা অঞ্চলের সব্জিবাগানে পুরসভার একটি পাঁচতলা ভবনে নার্সিং ট্রেনিং এবং প্যারা-মেডিক্যাল ট্রেনিং স্কুল চালু করতে চলেছে। আপাতত নার্সিং ট্রেনিং স্কুল শুরু হবে। পরে শুরু করা হবে প্যারা-মেডিকেল কোর্স। মূলত শহরের দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়াদের জন্য এই ধরনের ট্রেনিং স্কুল খুলতে আগ্রহী মেয়র ফিরহাদ হাকিম। সেখানকার ২০ হাজার বর্গফুট জায়গাজুড়ে পিপিপি মডেলে শুরু হবে নার্সিং ট্রেনিং স্কুল। ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেটি পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে সেন্ট্রাল অ্যাভিনিউয়ের উপর অবস্থিত একটি বেসরকারি হাসপাতাল। আসন সংরক্ষণ নিয়েও এক বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছে কলকাতা পুরসভা। ৬০টি আসন বিশিষ্ট এই নার্সিং স্কুলের ৩৩ শতাংশ আসন পুরসভার তরফে পাঠানো শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ থাকবে।

এছাড়াও পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, প্যারা মেডিক্যাল বিভাগে মূলত তিন ধরনের প্রশিক্ষণ নেওয়ার সুযোগ থাকতে চলেছে। আর এই তিনটি বিভাগ হল ল্যাব টেকনিশিয়ান, ওটি টেকনিশিয়ান এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার টেকনোলজি। এই বিভাগের প্রতিটি ক্ষেত্রেই ৪০টি করে আসন থাকবে। আর সবমিলিয়ে মোট তিনটি বিভাগে ১২০ জনের আসন থাকবে। এছাড়াও জানা গিয়েছে এখানেও নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের মতো নির্দিষ্ট আসন পুরসভার জন্য বরাদ্দ থাকবে। সেই আসনগুলিতে যাঁরা ভর্তি হবেন, তাঁরা বিনা খরচে পড়তে পারবেন। তবে বাকি আসনে পুরসভার নির্দিষ্ট করে দেওয়া ফি নিতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থাকে।

এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যবিভাগের এক কর্তা জানিয়েছেন, “দ্বাদশ শ্রেণীর পরে জয়েন্ট পরীক্ষা দিয়েই দরিদ্র মেধাবী পড়ুয়ারা এখানে ভর্তি হতে পারবে। যে ৩৩ শতাংশ আসন পুরসভার জন্য বরাদ্দ থাকবে, সেখানে শহরের গরিব পড়ুয়ারা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নার্সিং ট্রেনিংয়ের সুযোগ পাবেন। তবে যাঁরা সেখানকার হোস্টেল থেকে পড়াশোনা করবেন, তাঁদের হোস্টেল ও খাওয়াদাওয়ার খরচ বহন করতে হবে। এসব ক্ষেত্রে বেশি ফি নেওয়ার কোনো সুযোগ পাবে না ওই বেসরকারি সংস্থা। ফি যাতে মধ্যবিত্ত, নিম্ন মধ্যবিত্তের আয়ত্তের মধ্যে থাকে, তা নিশ্চিত করবে পুরসভা। তেমনই চুক্তি হয়েছে বেসরকারি সংস্থাগুলির সঙ্গে।”

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *