জোর করে জমি দখলের অভিযোগ স্থানীয় উপপ্রধানের মদতে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে
স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:উত্তর ২৪ পরগনা বসিরহাট মহাকুমার সন্দেশখালি ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত ন্যাজাট২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দক্ষিণ আখড়াতলা এলাকায় গত কয়েক মাস আগে ৪২ শতক জমি কেনে ওই এলাকার আশিক ইকবাল ও বুবাই ঘোষ নামে দুই ব্যক্তি। কলকাতার পদ্মপুকুর এলাকার এক জমিদারের কাছ থেকে ওই জমি তারা কেনেন। তাদের কেনা জমিতে যখন বাড়ি করতে যায় তখনই বাধা দেয় ওই এলাকার তাপস দাস, অভিমান্য দাস নামে এলাকার দুই তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী। তারা আশিক ইকবাল ও বুবাই ঘোষ কে খুনের হুমকি দেখিয়ে জোর করে রাতারাতি ওই জায়গায় দুটি অস্থায়ী ঘর বানিয়ে তৃণমূলের দলীয় পতাকা টানিয়ে দেয়। এরপর এই জমি দখল করে নেওয়ার অভিযোগ জানিয়ে আশিক ইকবাল ও বুবাই ঘোষ ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ জানায়। জানানোর পরেও আজও পর্যন্ত কোন সূরাহ হয়নি। রাতারাতি তৈরি করা ওই অস্থায়ী ঘর থেকে তৃণমূলের দলীয় পতাকা খুলে নিজেদের জায়গা দখল করতে যায় আশিক ইকবাল ও বুবাই ঘোষ। তখনই এলাকার তৃণমূল কর্মী তাপস দাস ও অভিমান্য দাশ দুজনে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জগদীশচন্দ্র রায়ের একটি দখলদারি সার্টিফিকেট দিয়ে দেয় যেটা কিনা সম্পূর্ণ আইন বহির্ভূত । আর এটা যে আইন বহির্ভূত সেটা ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান স্বীকারও করে নিয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান জগদীশচন্দ্র রায়ের দাবি ওই জায়গা গত 30 বছর ধরে দখল করে আসছে ওই এলাকার তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী তাপস দাস ও অভিমান্য দাস, অথচ তাদের কোন নথি নেই জায়গা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে। কিন্তু ওই জমিতে তারা ৩০ বছর ধরে বসবাস করছে না। গত কয়েক মাস আগে ওই জমির উপর জোর করে তারা দুটি বাড়ি বানিয়েছে এমনটাই দাবি করেছেন এলাকার সাধারণ মানুষেরা। সম্প্রতি যে বাড়ি তৈরি করা হয়েছে তা তৈরি করা বাড়ি দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তৈরি করা বাড়ি যে ৩০ বছরে পুরনো নয় সেটা যে সম্প্রতি তৈরি করা তা পরিষ্কারভাবে বোঝাই যাচ্ছে। এবং বাড়ির দর্মার বেড়ার উপর তৃণমূল সুপ্রিয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ছবি ও বিশ্ব বাংলার লোগো আঁকা আছে যা পরিস্কার ভাবে বোঝা যায়, জোর করে জমি দখল নিয়ে রাতা রাতি বাড়ি তৈরি করে নিয়েছে তৃণমূলের কর্মীরা। তৃণমূলের কর্মী বলেই বাড়ি বেড়ার গায়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ও বিশ্ব বাংলা লোগো ছবি সহ ব্যানার ঝুলছে। কিন্তু তাদের এই কেনা সম্পত্তি কবে ফেরত পাবে সেই দিকেই তাকিয়ে ওই এলাকার আশিক ইকবাল মোল্লা ও বুবাই ঘোষ।