বাংলায় জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়,কড়া নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
অনিন্দিতা সিনহা,মানুষের মতামত:বাংলার বুকে শিল্পের জন্য কোনওভাবেই জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা যাবে না। শিল্প মহলকে এই বিষয়ে ফের একবার স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বাংলায় ক্ষমতার পালা বদলের মূল ভিত্তি ছিল জমি বা আরও ভাল করে বললে, জমি অধিগ্রহণ।ক্ষমতায় আসবার আগে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ব্যাপারে দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত স্পষ্ট ও স্বচ্ছ। কোনওভাবেই জোর করে জমি অধিগ্রহণ নয়। আর তাঁর এই নীতি ঘিরেই সেই সময় বিরোধ বাঁধে রাজ্যের বামফ্রন্ট সরকারের সঙ্গে। এরপর একে একে সিঙ্গুর , নন্দীগ্রাম পর্ব আর তারপর বাকিটা ইতিহাস। ২০১১ সালে রাজ্যে পালা বদলের পর ক্ষমতার অলিন্দে বসেও তাঁর এই জমি নীতির আজও সামান্যতম হেরফের হয়নি। আজও এই ২০২৫ সালে বসেও রাজ্যের বুকে পরপর লাগাতার তিন তিন বার সাধারণ মানুষের রায়ে বিপুল ভোটে জয়ী হওয়ার পরেও নিজের জমি নীতিতে আজও অবিচল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তাঁর এই জমি নীতির কারণেই একদিন টাটা-র মতন সংস্থা এই রাজ্য থেকে মুখ ফিরিয়ে চলে গিয়েছিল। তাঁর এই জমি নীতির কারণেই তিনি ক্ষমতায় আসবার পরেও একাধিক সংস্থা এই রাজ্যে শিল্প করার জন্য এগিয়ে আসেনি। এমনকি বেশ কিছু সংস্থা অনেকটা এগিয়ে গিয়েও শুধুমাত্র জমি অধিগ্রহণ করতে না পেরে পিছু হঠতে বাধ্য হয়েছে। আর এই সব কিছু জেনে আর বুঝেও তিনি কিন্তু এই ক্ষেত্রে কোনও রকম সমঝোতার রাস্তায় হাঁটেননি।
তবে এবার কিন্তু নিজের এই জমি নীতিতে অটুট থেকেই রাজ্যে শিল্পের ক্ষেত্রে জোয়ার আনতে চলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্ততপক্ষে শেষ বিজনেস সামিট থেকেই এই সম্ভাবনা অনেকটাই উজ্জ্বল বলে মনে হচ্ছিল।এরপর নবান্নের শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক থেকে এই সম্ভাবনাই যেন আরও জোরদার হল বলেই মনে করছে রাজ্যের তথ্যভিজ্ঞ মহল।
এদিন ফের একবার এটা স্পষ্ট করে দেন যে, কোনওভাবেই বাংলার বুকে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা চলবে না। এদিনের এই শিল্প সংক্রান্ত বৈঠক থেকে তিনি জানান যে, শিল্পের প্রসারে জমির সমস্যার বিষয়টিও গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন তিনি ৷ এক্ষেত্রে তিনি বলেন রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ইতিমধ্যেই প্রায় তিন হাজার একর জমি শিল্পের জন্য চিহ্নিত করা হয়েছে। এই সব জমি শুধুমাত্র শিল্পের জন্যই ব্যবহার করা হবে। এছাড়াও সরকারের বিভিন্ন দফতরের হাতে থাকা অতিরিক্ত জমির বিষয় নিয়েও তথ্য সংগ্রহ করার কাজ শুরু হয়েছে। এছাড়াও রাজ্যের মধ্যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের জন্য নির্দিষ্ট জমির সঠিক ব্যবহার এর উপরেও জোর দেওয়া হচ্ছে।