পাইপ আছে কল আছে কিন্তু বারো বছর ধরে পড়ে না জল পরিস্রুত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত ধূপগুড়ির গারখুটা
সানি রায়,মানুষের মতামত:জলপাইগুড়ি জেলার ধূপগুড়ি মহুকুমার ঝার আলতা-২ নং গ্রামপঞ্চায়েতের গারখুটা ডুয়ার্সের শান্ত নিরীহ এক গ্রাম।চারদিকে সবুজের সমারোহ,ধূপগুড়ি শহর থেকে মাত্র নয় কিলোমিটার দূরের এই গ্রাম থেকে হাঁটা পথে তিন কিলোমিটারের মধ্যে গভীর বনাঞ্চল।খট্টিমারি এবং গোঁসাইর হাট!দিনে দুপুরে প্রায়শই হরিণ শাবক-বাইসন চলে আসে গ্রামে,রাতের অন্ধকারে হাতি।এ পর্যন্ত বিবরণ ঠিকই আছে।আসলে সমস্যা হল গ্রামের বেশির ভাগ বাসিন্দা ক্ষুদ্র কৃষক- দিন মজুর-খেত মজুর।বিত্তশালী কেউ নেই।বেরোজগারির চিত্র প্রায় সব পরিবারেই স্পষ্ট কিন্তু এর মধ্যেই বেশিরভাগ গ্রামবাসীই বছরের অধিকাংশ সময়ই থাকেন অসুস্থ,পেটের রোগ নিত্যকার।যার জন্য মুলত দায়ী পানীয় জল।হয় টিউবওয়েল নয় কুয়োর অপরিশ্রুত জল পান করে জীবন রক্ষা করতে হয় গ্রামবাসীদের।এহেন গ্রামের মানুষের কথা ভেবে ২০০৮ সালে বামফ্রন্ট সরকারের আমলে নলবাহি পরিশ্রুত পানী জল সরবরাহের প্রকল্পের সমীক্ষা রিপোর্ট জমা পড়ে এবং ২০১০ সালে অর্থ বরাদ্দ হয়ে প্রকল্পের টেন্ডার হয়। ১১ সালে সরকার বদলে গিয়ে ২০১৩ সালে প্রকল্প বাস্তবায়ন করে জল সরবরাহ করা হয় মাত্র কয়েক দিনের জন্য।গ্রামের বিভিন্ন স্থানে জল সংরক্ষণের আঁধার নির্মান হয় রাস্তার ধারে স্ট্যাম্প পোস্ট বসে যায়।কিন্তু পরিকাঠামো এবং কর্মীর অভাবে জল সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।গ্রামের মানুষের অনেক আবেদন-নিবেদন তদ্বির-তদারকি হলেও গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান-স্থানীয় বিধায়ক কেউ গুরুত্ব দেননা। এই গ্রামের তৃণমূল দলের তিন বারের বিজয়ী পঞ্চায়েত সদস্য নীরেন্দ্র নাথ রায় বলেই দিলেন ক্ষোভের সাথে আমার প্রধান সমিতির সভাপতি দলের নেতা কেউ আমার গ্রামের মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না।স্থানীয় বাসিন্দা প্রবীণ কৃষক বুধারু রায় আক্ষেপ করে “মানুষের মতামত”-কে জানালেন সারা বছর শুদ্ধ জলের অভাব।পাইপ আছে কল আছে কিন্তু বারো বছর ধরে জল পড়ে না। এই বিষয় নিয়ে “মানুষের মতামত”-র তরফে স্থানীয় বিধায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি!গ্রামীণ চিকিৎসক সুরেশ চন্দ্র রায় বলেন গ্রামের অধিকাংশ মানুষই জল বাহিত পেটের অসুখে ভোগে।জল নিয়ে কত বিজ্ঞাপন সরকারি প্রচার দেখি কিন্তু আমাদের গ্রামের মানুষ পরিশ্রুত জলের জন্য গত বারো বছর ধরে হা পিত্যেশ করে অপেক্ষা করছে।