সন্দেশখালিতে বিজেপি নেতার তান্ডব,মৃতের পরিবারকে শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে বাধা
হাসানুজ্জামান,মানুষের মতামত:মৃতের পরিবার শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে গেলে বাধা বিজেপি নেতার। প্রতিবাদে গ্রামবাসীদের মিছিল। খুনিকে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ। উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাট মহকুমার সন্দেশখালি থানার খুলনা গ্রাম পঞ্চায়েতের খুলনা গ্রামের ঘটনা। ঘটনার সূত্রপাত চলতি বছরের জানুয়ারির ১৯ তারিখ।অভিযোগ,ঐ দিন সন্ধ্যায় বিজেপি নেতা ভবতোষ দাশ ও তার ছেলে মদ্যপ অবস্থায় কানে হেডফোন লাগিয়ে দ্রুত গতিতে মোটরবাইক চালিয়ে যাচ্ছিল। তখন তারা হঠাৎই ধাক্কা মারে এলাকার এক বধূকে। ঘটনায় গুরুতর জখম হলে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সন্দেশখালি গ্রামীণ হাসপাতাল নিয়ে যায়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে আর.জি.কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তাকে স্থানান্তরিত করা হয়। ভর্তির পর টানা ৯ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ার পর ২৮শে জানুয়ারি মৃত্যু হয় ওই বধূর। মৃতার নাম সবিতা মৃধা (৪৫)। পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হতে চাইলে বাধা দেওয়া,এমনকি পাল্টা হুমকি ও মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপি নেতা ভবতোষ দাসের বিরুদ্ধে। পেশায় তিনি একজন হাই স্কুলের শিক্ষক।পাল্টা তাকে ভয় দেখানো হচ্ছে এই অভিযোগে মৃতের পরিবার সহ ৭ জনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ঐ বিজেপি নেতা। অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকার এক তৃণমূল কর্মী ধ্রুবজ্যোতি সান্যালকে গ্রেফতার করা হয়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, ভবতোষ দাশ থানায় তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করার ফলে তারা ঠিক মতো করে সবিতা মৃধার অন্তষ্টিক্রিয়া তথা শ্রাদ্ধের অনুষ্ঠান ঠিকমতো করতে পারছেন না। কারণ বিষয়টি নিয়ে তারা রীতিমতো ভয় ও আতঙ্কে রয়েছেন। এই ঘটনার প্রতিবাদে খুলনা বাজার ব্যবসায়ী সমিতি সহ গ্রামের মানুষ ঐ বিজেপি নেতার গ্রেপ্তারির দাবিতে খুলনায় প্রতিবাদ মিছিল করেন। হাতে প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন নিয়ে মৃতের পরিবারের সদস্য সহ গ্রামের মানুষ খুলনা বাজারে বিক্ষোভ দেখান। তাদের দাবি, অবিলম্বে ঐ বিজেপি নেতা ভবতোষ দাশকে গ্রেফতার করতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এমন কি ক্ষতিপূরণও দিতে হবে। ভবতোষ দাসের বাড়িতে গেলে তার ভাই বলরাম দাস বলেন, “গত সাত দিন আগে বাড়ি থেকে চলে গিয়েছেন। তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার একাধিক মোবাইল ফোনের সুইচ বন্ধ রয়েছে।”