সাসপেন্ড হওয়ার পর দলের একা়ংশকে চ্যালেঞ্জ শান্তনু সেনের
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:ইতিমধ্যেই দল থেকে সাসপেন্ড হয়েছেন চিকিৎসক নেতা ও রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ ডাঃ শান্তনু সেন। উত্তর কলকাতার সরকারি হাসপাতাল আর জি করে এক কর্মরতা তরুণী চিকিতসক-র ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় উত্তাল হয়ে ওঠে সমগ্র বাংলা। তার প্রভাব পড়ে শুধু দেশের নানা অংশেই নয়, বিদেশেও। এমনকী মার্কিন মুকুকেও প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
শান্তনু সেন আর জি কর কাণ্ডে সন্দীপ ঘোষ চক্রের বিরুদ্ধে মুখ খোলেন। সুদীপ্ত রায়ের সঙ্গে সংঘাত বাঁধে শান্তনুর। সুদীপ্ত রায়কে সমর্থন দেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতেই শান্তনু সেনের সঙ্গে দলের দূরত্ব বাড়ে। এর পিহনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে শান্তনু সেনের সমীকরণের কথাও সামনে আসে। অস্বস্তি বাড়ে তৃণমূল কংগ্রেসের। শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে দল বিরোধী কাজে যুক্ত হওয়ার পাশে অবৈধ ৬১ টি সম্পত্তি করার অভিযোগ তোলে তারই বিরোধী শিবিরের তৃণমূল নেতারা।
তার বিরুদ্ধে অবৈধ উপায়ে দমদম, সিঁথি ছাড়াও রাজ্যের নানা অংশে সম্পত্তি করার যে অভিযোগ তার বিরোধী শিবির তুলেছে তাকে প্রকাশ্যেই চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন শান্তনু সেন।
একই সঙ্গে শান্তনু সেনের বিজেপি যোগ নিয়ে উত্তর কলকাতার তৃণমূলের একাংশ অভিযোগ তুললেও তিনি তাতে আমল দেন নি। তাঁর দাবি ১৯৯৮ সাল থেকে ২৬ বছর তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে দেওয়া সব দায়িত্ব তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করেছেন। দল বিরোধী কোন কাজে তিনি লিপ্ত ছিলেন তাও সবিনয়ে জানতে চেয়েছেন দলের কাছে। রাজনৈতিক মহলের মতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অতি ঘনিষ্ঠ উত্তর কলকাতার চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। তাঁকে যেভাবে দল সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে তাতে সায় নেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। শান্তনু সেনের বহিস্কারের ঘটনা এখন কোন দিকে মোড় নেয় সেদিকেই তাকিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের সব মহল।