সীমান্তে সতর্ক বিএসএফ সহ সব নিরাপত্তা এজেন্সি
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:বাংলাদেশে হিংসা-সন্ত্রাস ও অস্থিরতার জেরে উত্তর-পূর্ব ভারত অতি সতর্কিত। শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামেও বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের খবর আসছে।
অসমে ৫ই আগষ্টের পর থেকে এ পর্য্যন্ত ১৬১ জন অবৈধ বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারিদের গ্রেপ্তার করে অসম পুলিশ। পরে তাদের আবার বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়। বিজেপি শাসিত অসমের পাশে ত্রিপুরাতেও অনুপ্রবেশ রুখতে সতর্ক বিএসএফ ও ত্রিপুরা পুলিশ। তা সত্ত্বেও একশো শতাংশ অনুপ্রবেশ আটকানো যাচ্ছে না তা একান্তে কবুল করছেন ত্রিপুরার পুলিশ ও প্রশাসনের একাধিক শীর্ষ কর্তা। বাংলাদেশে হিন্দু ও উদারবাদী-স্বাধীনতা মুক্তিযুদ্ধ ধারার মুসলিমদের বর্বর হামলার কারণে নিরাপত্তার কারণে পশ্চিমবংগ ছাড়াও অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মিজোরামে অনুপ্রবেশ চলছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম বাংলাদেশ সেনা সরাসরি চাকমাদের ওপর বর্বর আক্রমণ চালিয়েছে। অতীতের মত বর্তমানেও বহু বৌদ্ধ চাকমা উপজাতির নারি-পুরুষ-শিশুরা ত্রিপুরা, মিজোরামে অনুপ্রবেশ করছে। এরা মূলতঃ শরণার্থী।
জাতি হিংসার দাপটে চলে আসা বিপন্ন মানুষদের নিয়ে প্রবল চাপেই রয়েছে নয়াদিল্লি। বিএসএফ সহ সব নিরাপত্তা এজেন্সি গুলিকে ভারত সরকার বাংলাদেশ সীমান্তে সতর্ক করে দিয়েছে। এর ফলে যে সব সীমান্ত এলাকা অরক্ষিত রয়েছে সেখানে ফেনসিং এর কাজ শুরু হয়েছে। বিএসএফ এখন হিন্দু হোক বা মুসলিম যে কোন বে আইনি অনুপ্রবেশ ঠেকাতে মরিয়া হয়ে জোরদার নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।
তাই শুধু অসমে হিমন্ত বিশ্ব শর্মাই নন,ত্রিপুরা,মেঘালয়, মিজোরামেরও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক বিএসএফকে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সক্রিয় করেছে। বাংলাদেশের চলতি ঘটনাবলির ছায়া যে উত্তর-পূর্বে ভাল রকমের পড়তে চলছে তা যানবন্ধন রাজনৈতিক মহলও। বাংলাদেশে আমলে উদারপন্থী মুসলিম বুদ্ধিজীবী,লেখক, রাজনৈতিক কর্মীরাও সীমান্ত পার করে এদেশে ঢুকতে চাইছেন বলেই খবর।