ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া বামপন্থী শিবির
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির রাজনৈতিক মেরুকরণ ও প্রতিযোগিতামূলক সাম্প্রদায়িক্তার কাঁটায় বিদ্ধ বামপন্থী অতি বামপন্থী শিবির। অতি অবশ্যই কংগ্রেসও। এই পরিস্থিতিতে পশ্চিমবঙ্গে সিপিএমের তৃণমূলস্তর এরিয়া কমিটির সন্মেলনে এখন থেকে তেড়ে ফুঁড়ে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে ঘুরে দাঁড়ানোর সংকল্প নেওয়া শুরু হয়েছে।
সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য তথা জল্পনায় দলের ভাবী সাধারণ সম্পাদক মহঃ সেলিম পশ্চিমবঙ্গে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়,সৃজন ভট্টাচার্য্য প্রমুখদের তরুণ ব্রিগেডের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। দলের অভ্যন্তরে বৃদ্ধতন্ত্রকে এবারের রাজ্য সন্মেলনেই পিছনে ফেরানোর অঙ্ক কষছেন সেলিম-সুজন চক্রবর্ত্তী-মীনাক্ষী-সৃজন ভট্টাচার্য্যরা।
সিপিএম শুধু পশ্চিমবঙ্গেই নয়, ২৬-এ বিধানসভা নির্বাচনে কেরালায় তৃতীয়বার ক্ষমতায় ফেরার স্বপ্ন দেখছে। সিপিএমের অন্দরের রাজনীতিতে প্রয়াত সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরিকে সিপিএমের এস এ ডাঙ্গে বলে কটাক্ষ করতে দলের অভ্যন্তরে প্রবল কংগ্রেস বিরোধী অংশ। এখন ইয়েচুরির মৃত্যুর সিপিএমের রাজনীতিতে দক্ষিণী দাপট শুরু হয়েছে। দলের পলিটব্যুরো সদস্যদের সমন্বয়কারি প্রকাশ কারাত আবার লাইম লাইটে এসেছেন। যদি দলের অভ্যন্তরে ৭৫ বছর পার করা দলের একদা ফায়ারব্র্যান্ড সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ কারাত নিজে পলিটব্যুরো কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছা ব্যক্ত করেছেন। শুধু তাই নয়, সিপিএম পলিটব্যুরোর কম বয়সী তরতাজা সুবক্তা ও রাজনৈতিক জ্ঞানে পারদর্শী নেতা,দলের মুসলিম মুখ মহঃ সেলিমই দলের সাধারণ সম্পাদক হোন তেমনটাই চাইছে কারাত ও তাদের ঘনিষ্ঠ জনেরা।
উত্তর-পুর্বের বাংলাদেশ লাগোয়া স্পর্শকাতর রাজ্য ত্রিপুরাতেও সিপিএমের পুনরুজ্জীবনের স্বপ্ন দেখছেন পার্টির নেতৃত্ব। ত্রিপুরায় বিজেপির অপশাসন ও হিন্দু সাম্প্রদায়িক রাজনীতির বিরুদ্ধে ক্রমেই সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা মাঠে নামা শুরু করেছেন। ২০১৮ ও ২০২৩-এ নির্বাচনের আগে প্রবল ভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা শুরু করেছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।