কাশীপুরে সিমেন্ট ওঠানামায় দূষণের জেরে বাড়ছে শ্বাসকষ্ট,বিধানসভায় উদ্বেগ প্রকাশ অতীন ঘোষের
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত: কাশীপুর-বেলগাছিয়া কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক অতীন ঘোষ তাঁর বিধানসভা এলাকার ১ ও ৬ নম্বর ওয়ার্ডে রেলওয়ে সাইডিংয়ে সিমেন্ট ওঠানামার ফলে সৃষ্ট গুরুতর দূষণের বিষয়টি তুলে ধরলেন। তিনি রাজ্যের পরিবেশ দপ্তরকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছেন, কারণ এই দূষণের ফলে এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে সিওপিডি-সহ নানা শ্বাসকষ্টজনিত রোগ দেখা দিচ্ছে।
রাজ্য বিধানসভার ‘মেনশন’ তথা উল্লেখ পর্বে আলোচনা করতে গিয়ে অতীন ঘোষ, যিনি কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়রও, জানান যে এই এলাকায় লক্ষাধিক মানুষ বসবাস করেন এবং তিনটি কলেজ, যার মধ্যে একটি ডেন্টাল কলেজও রয়েছে। তিনি বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বহুবার আমার হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। দূষণের প্রভাব এতটাই বেশি যে কেউ যদি এই এলাকা দিয়ে গাড়ি চালিয়ে যান, তবে গাড়ির সামনের কাঁচ ধুলোর আস্তরণে ঢাকা পড়ে যায়।”
অতীন ঘোষ আরও বলেন, মেয়র ফিরহাদ হাকিম একবার কাশীপুরে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে এসে নিজেও এই দূষণের মাত্রা বুঝতে পারেন এবং এলাকার জন্য বিশেষ স্প্রিংকলার চালু করেন। তবে এখনো দূষণের প্রভাব উল্লেখযোগ্যভাবে বজায় রয়েছে। তিনি জানান, “কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরে দূষণজনিত রোগে আক্রান্ত বহু রোগী আসছেন।”
অতীন ঘোষের এই উদ্বেগকে সমর্থন জানিয়েছেন কলকাতার মেয়র ও রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, আগের তুলনায় রেল কর্তৃপক্ষ এখন দূষণ নিয়ন্ত্রণে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছে না।
“সাধারণ মানুষকে রেলের গাফিলতির জন্য ভুগতে হবে কেন? তারা এই সাইডিং অপারেশনের মাধ্যমে ব্যবসা করছে, তাই তাদেরই দায়িত্ব নিতে হবে।রেল কর্তৃপক্ষকে নোটিস পাঠিয়ে জানানো উচিত যে তারা যেন দূষণ নিয়ন্ত্রণে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়,” বলেন হাকিম।