যাদবপুর কাণ্ডে ফ্যাসাদে ব্রাত্য-ওমপ্রকাশ
স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:গত শনিবার, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যে চরম বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটেছিল তাতে তার প্রভাব পড়েছিল সমস্ত রাজ্য রাজনীতিতে। আর তারই প্রতিবাদে একের পর এক বিক্ষোভ কর্মসূচি এবং আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে বিক্ষোভকারী পড়ুয়াদের তরফ থেকে। ঘটনা ঘটার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো পরিষ্ঠিকুস্বভাবিক হয়নি। আর এই আবহে এবার শিক্ষামন্ত্রী এবং যাদবপুরের অধ্যাপক এর বিরুদ্ধে উঠল শ্লীলতাহানির মামলা।
সূত্রের খবর, গত শনিবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে যখন ওয়েবকুপার বৈঠক চলছিল তখন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বাধে। এমনকি ব্রাত্য বসুর গাড়ির ধাক্কায় আহত হন যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র ইন্দানুজ রায়। সেই সময় ইন্দ্রানুজ রায়ের তরফে ইমেল মারফত একটি অভিযোগ দায়ের করা হয় থানায়। সেই ইমেলে তিনি রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু, তাঁর গাড়িচালক, ওমপ্রকাশ মিশ্র-সহ তৃণমূলকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের আর্জি জানিয়েছিলেন।
কিন্তু অভিযোগ, পুলিশ এর প্রেক্ষিতে কোনও মামলা রুজু করেনি। যার ফলে গতকাল অর্থাৎ বুধবার এনিয়ে একটি মামলা দায়ের হয় কলকাতা হাইকোর্টে। আর সেই মামলায় আইনি মামলায় লড়াইয়ে এগিয়ে আসেন আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। মামলার শুনানিতে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য দাবি করেন, “ছাত্রদের কোনও এফ আই আর নেওয়াই হয়নি। বরং কিন্তু,যাঁরা ছাত্রদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন তাঁদের এফ আই আর নেওয়া হয়েছে।” আর এই অভিযোগে ক্ষুব্ধতা প্রকাশ করেন বিচারপতি।
এদিকে এফ আই আর না গ্রহণ করায় পাল্টা রাজ্য সরকারের দিকে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। কেন এফআইআর নেওয়া হয়নি তা রাজ্যের কাছে জানতে চান বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ। সেই সময় রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল কিশোর দত্ত জানান যে ইন্দ্রানুজের অভিযোগের বিষয়ে অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পরে আহত ছাত্র ইন্দ্রানুজ রায়ের অভিযোগ এফ আই আর হিসাবে নেওয়ার নির্দেশ দেন
বিচারপতি। এবং রাজ্যের কাছে আগামী ১২ মার্চের মধ্যে রিপোর্টও তলব করে কলকাতা হাইকোর্ট।