ঠিকাদারি সংস্থা পালিয়েছে, শুধুমাত্র পিলারের উপর হয়েছে ঢালাই ছাদ,কয়েক বছর ধরেই জরাজীর্ণ ঘরে চলছে শিশুদের নিয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র
সানী রায়,মানুষের মতামত: নামেই মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র, রয়েছে শুধু ছাদ, উধাও হয়ে গিয়েছে ঠিকাদারি সংস্থা। কয়েক বছর আগেই মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরির জন্য ৯ লক্ষ টাকার অধিক বরাদ্দ হয়েছিল। কাজও শুরু হয়েছিল তড়িঘড়ি ভাবে। কয়েকটি পিলার নির্মাণের পর মাথার উপর ছাদ নির্মাণ হয়েছিল। তারপরেই অদৃশ্য কারণে ঠিকাদারি সংস্থা রাতারাতি উধাও হয়ে যায়। তারপর থেকেই কার্যত মাথায় ছাদ নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র।
ঠিকাদারি সংস্থা উধাও হয়ে যাওয়ার পর কয়েকটি পিলারের উপর খোলা আকাশের নিচে শুধুমাত্র ছাত্র রয়েছে। চারিদিকের দেওয়াল তোলা আর হয়নি। হয়নি মেঝে তৈরি করা। এদিকে নতুন মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র তৈরি হচ্ছে বলে শিশুরা ছিল কয়েক বছর আগে বেশ খুশি। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র নির্মাণ থমকে যাওয়ায় বাধ্য হয়ে জরাজীর্ণ আইসিডিএস সেন্টারে যেতে হচ্ছে শিশুদের। এই জরাজীর্ণ সেন্টারটি যার বাড়িতে অবস্থিত সেই বাড়ির মালিক অনন্যা রানী দাস চৌধুরী জানান নতুন সেন্টার নির্মিত হচ্ছে বলে সাময়িকভাবে তিনি তার বাড়ির রান্নাঘর ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছিলেন। শুধুমাত্র শিশুদের মুখের দিকে তাকিয়ে এতদিন তিনি তার রান্নাঘর ব্যবহার করতে দিয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘ কয়েক বছর নতুন সেন্টারের ছাদ শুধু তৈরি হয়েছে তারপর আর কিছুই তৈরি হয়নি ফলে বর্তমানে তিনি বিপাকে পড়েছেন।
মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র অর্ধসমাপ্ত হয়ে থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। স্থানীয় বিজেপি নেতা কমলেশ সিংহ সরাসরি কাট মানির অভিযোগ তুলে শাসক দলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে জানান “যতটুকু জানা আছে তাতে এই নয় লক্ষ টাকার প্রকল্পের বাকি টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে, ফলে আর কাজটি এগোচ্ছে না”।স্থানীয় বাসিন্দা থেকে শুরু করে স্কুলে পড়তে আসা খুদে শিশুরা পর্যন্ত দাবি করছেন অবিলম্বে সরকার গুরুত্ব দিয়ে এই অর্ধ সমাপ্ত বিল্ডিং সমাপ্ত করুক।
অন্যদিকে,তৃণমূল নেতা অমল কুমার রায়ের বক্তব্য বিষয়টি সম্পর্কে তার কোন ধারনাই নেই, তবে তিনি দ্রুত সমস্যা নিরসনের জন্য উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।
ব্লক ডেভেলপমেন্ট অফিসার সঞ্জয় প্রধান পঞ্চায়েত প্রধানের সঙ্গে কথা বলে যাতে উপযুক্ত ব্যবস্থা সত্তর নেওয়া হয় তার ব্যবস্থা করবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।একটা জরাজীর্ণ ঘরে কোনমতে ছোট ছোট শিশুরা পড়াশুনোর পাশাপাশি খাওয়া দাওয়া করছে, বৃষ্টি আসলে চারিদিক থেকে জল পড়ে, ঠান্ডায় প্রবল কষ্ট। এই সমস্ত সমস্যার কারণে শিশুদের অভিভাবকদেরও দাবি অবিলম্বে প্রশাসন সঠিক পদক্ষেপ নিয়ে মডেল অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র সম্পূর্ণ করে শিশুদের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করুক।