যাদবপুরে শিক্ষামন্ত্রীর ওপর বিক্ষোভ,ধিক্কার মিছিলে তৃণমূল,ছাত্র ধর্মঘটের ডাক এসএফআই-র
জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়লেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। শুক্রবার শিক্ষামন্ত্রী ক্যাম্পাসে পৌঁছাতেই আন্দোলনরত ছাত্রছাত্রীদের তীব্র প্রতিবাদের সম্মুখীন হন। অভিযোগ, অতিবাম ছাত্র সংগঠনের পড়ুয়ারা শিক্ষামন্ত্রীর গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখান, এমনকি তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগও উঠেছে।
এই ঘটনার কড়া সমালোচনা করেছে শাসক দল। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে আজ, শনিবার সন্ধ্যা ৬:৩০-এ সুকান্ত সেতু থেকে ধিক্কার মিছিলের ডাক দেওয়া হয়েছে। ওই মিছিলে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। টালিগঞ্জের বিভিন্ন ওয়ার্ডের কর্মীদেরও এই মিছিলে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে, শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার প্রতিবাদে আগামী সোমবার ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
কী বললেন শিক্ষামন্ত্রী?
ঘটনার পর ব্রাত্য বসু বলেন, “আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমি সুস্থ আছি, তবে আমার সহকর্মীদের নিয়ে চিন্তিত। আমার তিনজন অধ্যাপক থানায় গিয়েছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আমাকে পুলিশ ডাকতে বলেছিলেন, কিন্তু আমি রাজি হইনি। আমি আলোচনায় আগ্রহী ছিলাম। এসএফআই প্রতিনিধিদল পাঠায়, কিন্তু চল্লিশ জনের সঙ্গে দেখা করার দাবি জানায়। আমি বলেছিলাম, চারজনের সঙ্গে দেখা করব। তবু পনেরো মিনিট অপেক্ষা করেছি।”
কী বললেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। তিনি বলেন, “যাঁরা গণতন্ত্রের কথা বলেন, তাঁরাই আজ যাদবপুরে গণতন্ত্রকে হত্যা করলেন। শুধুমাত্র শিক্ষামন্ত্রী নন, অধ্যাপকদেরও শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছে। যারা অধ্যাপকের গায়ে হাত তোলে, তারা ছাত্র হতে পারে না, তারা গুন্ডা ছাড়া কিছু নয়।”
এলাকার সাংসদ সায়নী ঘোষও ঘটনার নিন্দা করেন। তিনি বলেন, “শান্ত বাংলাকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। বাংলার মানুষ এসব মেনে নেবে না। গণতান্ত্রিক শক্তি শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলাকে সমর্থন করতে পারে না। আমরা এই বর্বরোচিত হামলার তীব্র নিন্দা করছি।”
শিক্ষামন্ত্রীর ওপর হামলার পর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে চড়ছে উত্তেজনার পারদ। একদিকে তৃণমূলের ধিক্কার মিছিল, অন্যদিকে ছাত্র সংগঠনগুলির প্রতিবাদ কর্মসূচি— সপ্তাহের শুরুতেই ফের আন্দোলনের আঁচ বাড়তে পারে যাদবপুরে।