ব্লক ব্লাষ্টার বাংলা ছবির রি-রিলিজের ভাবনা?
নারায়ণ মজুমদার,মানুষের মতামত:ইতিমধ্যে বলিউডের অতীত দিনের ব্লকব্লাষ্টার সাদা কালো হিন্দি ছবির ডিজিটাল প্রিন্ট কখনও সাদা কালোকে রঙ্গিন করে রি-রিলিজে ভাল সাড়া পাওয়া গেছে। দিলীপ কুমার,মধুবালা,পৃথ্বিরাজ কাপুরের অভিনীত কে আজিজের ছবি ‘মুঘলে আজম’ রি-রিলিজে ভাল বাণিজ্য করেছে। ‘হাম দোনো’ ছবিকে কালার করে রি-রিলিজ হয়। অতি সম্প্রতি আমির খানের অভিনীত ‘আন্দাজ আপনা আপনা’ ছবিটিরও রি-রিলিজ হতে চলেছে। বলিউডে পুরোনো সাদা কালো সুপার হিট ছবিগুলি ডিজিটাল সংরক্ষণ করে রি-রিলিজের ভাবনা চলেছে প্রযোজক-পরিবেশক মহলে।
হিন্দি ছবির অনুকরণে সাদা কালো যুগের অবিস্মরণীয় বাংলা ছবিগুলিও ডিজিটাল সংস্করণ ও প্রয়োজনে কালার করে রিলিজের ভাবনা শুরু হলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয় নি। পুরানো দিনের অনেক নামি প্রযোজক ও পরিবেশক সংস্থাতেও তালাচাবি পড়েছে। অনেকেই অস্তিত্ব হারিয়েছেন।
ডিজিটাল সংস্করণ করে অতীত দিনের সুপার-ডুপার একাধিক বাংলা সাদা কালো ছবি রি-রিলিজ হলে বাণিজ্য যে ভালই দেবে তা নিয়ে নিশ্চিত পর্যবেক্ষক মহল। তবে ভাবনা থাকলেও এ নিয়ে কাজ শুরুর তেমন সক্রিয়তা দেখা যাচ্ছে না। যা যা বলিউডের ছবিগুলিতে ঘটতে চলেছে।
প্রমথেশ বড়ুয়ার ‘দেবদাস’ রবীন মজুমদারের ‘গরমিল’, দেবকী বসুর ‘ভগবান শ্রীকৃষ্ণ চৈতন্য’, অগ্রদূতের ‘পথে হল দেরী’, ‘সবার উপরে’, নির্মল দের ‘সাড়ে চুয়াত্তর’, অজয়্ করের ‘সপ্তপদী’ ‘হারানো সুর’ ‘জিঘাংসা’ ‘সাত পাকে বাঁধা’, অমিত সেনের ছবি ‘চলাচল’, ‘পঞ্চতপা’, ‘জীবন্তৃষ্ণা’, ‘উত্তর ফাল্গুনী’, যাত্রিকের ছবি ‘কাঁচের স্বর্গ’ বিজয় বসুর ছবি ‘ফরিয়াদ’ তপন সিংহের ‘লৌহ কপাট’, ‘জতুগৃহ’, ‘ঝিন্দের বন্দি’, ‘বাঞ্ছারামের বাগান’, হারমোনিয়াম’, ‘অতিথি’ অগ্রদানীর ‘হেডমাষ্টার’ প্রভাত মুখোপাধ্যায়ের ‘বিচারক’ সহ একাধিক অতীত দিনের বাংলা ছবি দিজিটাল সংস্করণ করে মেইন ষ্ট্রিম সিংগল স্ক্রিন সিনেমা হলে মুক্তির ব্যবস্থা করা গেলে বাণিজ্যে সফলতা আসার বিরাট সম্ভাবনা রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের এক পর্দার সিনেমা হলগুলির চলতি অস্তিত্বের সংকট এতে কাটতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে। বর্তমানে টলিউডের যে সংকট তা অনেকাংশে কাটাতে বাণিজ্যিকভাবে অতীত দিনের সাদা কালো ও আংশিক কালার ছবিগুলির রি-রিলিজ কার্যকরী ভূমিকা নিতে পারে বলেই মনে করা হচ্ছে।