তৃণমূলের মেম্বারদের বিরুদ্ধে দলেরই মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের শ্রীলতাহানির অভিযোগ,বিক্ষোভ জনতার,ন্যাজাট থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের
হাসানুজ্জামান,মানুষের মতামত:বসিরহাট মহাকুমার সন্দেশখালি এক নম্বর ব্লকের সেহারা রাধানগর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান দিপালী দাস পঞ্চায়েতের বিভিন্ন দপ্তরের উন্নয়নমূলক কাজের জন্য পঞ্চায়েতে মিটিং এর ব্যবস্থা করা হয় প্রধানের ঘরে। সেই মিটিং চলাকালীন হঠাৎই পঞ্চায়েতের দুই সদস্য সাজিদুল ইসলাম গাজী ও গফফার সর্দার তারা প্রধানের একাধিক দুর্নীতির কথা সামনে এনে মিটিং ভুণ্ডল করতে চায়। তারই প্রতিবাদ করতেই প্রধানের উপর হামলা চালিয়ে মারধোর করে জামাকাপড় ছেড়ে দেওয়া হয় এবং দরকারী কাগজপত্র ছিড়ে টুকরো টুকরো করে দিয়ে চেয়ার টেবিল পাখা ভাঙচুর করে। এই ঘটনার পর নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন পঞ্চায়েত প্রধান সহ বাকি সদস্যরা। তারা চাইছেন অবিলম্বে দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। এই ঘটনার পর সেহারা রাধানগর এলাকায় ন্যাজাট থানার আউট পোস্টে পঞ্চায়েতের দুই সদস্যর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জানায় প্রধান দিপালী দাস।সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি। তার কারণ তারা সন্দেশখালীর বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর অনুগামী বলে পরিচিত। এরপর গ্রামবাসীরা একত্রিত হয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দোষীদের গ্রেপ্তার ও বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। তাদের দাবি সুকুমার মাহাতো দলের বিধায়ক হয়ে দলেরই মহিলা প্রধানের উপরে হামলা চালিয়েছে যা একেবারেই নিন্দনীয় একজন পঞ্চায়েত মহিলা প্রধানের যেভাবে গায়ে হাত দিয়ে শ্রীলতাহানি করা হলো তাতে করে আতঙ্কে রয়েছে গোটা গ্রাম অবিলম্বে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তারা। এই ঘটনায় সন্দেশখালির বিধায়ক সুকুমার মাহাতো পুরো বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে তিনি জানিয়েছেন বিধায়ক যদি দোষী হবে তাহলে কেন বিধায়কের নামে থানায় অভিযোগ করা হলো না। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে তারা প্রতিবাদ করতে গিয়েছিল প্রধানের দুর্নীতি নিয়ে তাদের উপরেও হামলা চালিয়ে মারধর করা হয়েছে। প্রধান দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত রয়েছে। খোদ দলের বিধায়ক দলের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলছে। তাহলে কি সন্দেশখালীর গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আরও একবার প্রকাশ্যে উঠে এলো? না এর পেছনে রয়েছে অন্য কোন কারণ।