NewsPublic Interest NewsUncategorized

গ্লোবাল ওয়ার্মিং-র ধাক্কায়  উত্তর-পূর্বে নামছে জলস্তর

দিলীপ চট্টোপাধ্যায়,মানুষের মতামত:বিশ্বে জলবায়ু পরিবর্তন, দাবদহের দাপাদাপি,অরণ্য ধ্বংস ভূমি ক্ষয়ের ধাক্কা লাগছে উত্তর পূর্বের অসম, ত্রিপুরা মেঘালয় নাগাল্যান্ড মিজোরাম অরুণাচল থেকে মায়ানমার সীমান্ত রাজ্য মণিপুরে।অবাধে অরণ্য ধ্বংস,মেঘালয়ে বে আইনি ভাবে কয়লা উট্টোলন পাথর সরানো ও দাবদহে সমস্ত উত্তর পূর্বেই জলস্তর নামছে। ভূমিক্ষয় রোধ করা যাচ্ছে না, এর প্রভাবে উত্তর-পূর্ব ভূমি কম্পনের দীর্ঘ মেয়াদী জোনে পরিনত হয়েছে।সাম্প্রতিক সময়ে বাবার ভূ কম্পনের ধাক্কায় আতঙ্কের পরিবেশ গড়ে উঠেছে। বিশ্ব জুড়েই জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়েছে অসম ত্রিপুরা সহ সমগ্র উত্তর পূর্বে।

বেশ কজন পরিবেশবিদ, বিজ্ঞানীরাও জলবায়ু পরিবর্তনের কু প্রভাব উত্তর পূর্বে পড়ছে বলে জানিয়েছেন। যার প্রভাবে ব্রহ্মপুত্র ও তার শাখানদীগুলির জলস্তর নেমে যাচ্ছে। নদী ছাড়াও নির্বিচারে জল উত্তোলনের ফলে জলস্তর নেমে যাচ্ছে। প্রকৃতিও নিস্টহুর প্রতি আক্রমণের জন্য তৈরি হচ্ছে।

এক পরিবেশ বিজ্ঞানী দুলাল গোস্বামীর কথায় গুয়াহাটির কাছে ব্রহ্মপুত্রের পাড়ে গেলেই দেখা যাচ্ছে জলস্তর ৩/৪ ফুট নীচে নেমেছে। স্বাভাবিকের থেকে এই নিম্নমুখি জলস্তর অশনি সংকেত দিচ্ছে। তার মতে জলস্তর নামার কারোণ জলবায়ু ও আবহাওয়ার পরিবর্তন। মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ টর্নেডো ও সমুদ্র পৃষ্ঠের জলস্তরের অস্বাভাবিক বৃদ্ধির মূলে এই জলবায়ু পরিবর্তন।

গ্রীষ্মে জলস্তর নীচে নেমে ও বর্ষায় জলস্তর বেড়ে যাওয়া, ভয়াবহ বন্যা সবই হচ্ছে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে।

বিশ্ব উষ্ণায়ণের প্রভাবে উত্তর পূর্বের অসম,ত্রিপুরা, মেঘালয়,নাগাল্যান্ড, মিজোরাম,অরুণাচল থেকে মায়ানমার সীমান্ত রাজ্য মণিপুরে জল বিদ্যুৎ উৎপাদন কমেছে।

পরিবেশবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীদের কথায় কপিনি জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উতপাদনের কথা। জলস্তর নামায় বর্তমানে তা ৩০-৪০ মেগাওয়াট হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই ভাবে কারবি লাংগি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদন ব্যহত হচ্ছে। পানীয় জলের ক্ষেত্রে অসমের শহর অঞ্চলে ব্যপক প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ভূ গর্ভস্থ জলের স্তর কমে যাওয়ায় ভূমিক্ষয়ের সম্ভাবনা তীব্র হয়ে উঠেছে। জল সংরক্ষণের অভাব ও জল চুরির কারনে এই পরিস্থিতি তৈরি হতে চলেছে। এর ফলে বিশুদ্ধ পানীয় জল থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন অসমের সাধারণ মানুষ। জৈব বৈচিত্রের সঙ্কটের প্রভাবে পরিবেশ ভেদে জলের গুণোমানের পরিবর্তন হচ্ছে। ফলে জলবায়ুর পরিবর্তন , জল সংরক্ষণ ও পরিবেশ সংরক্ষণের অভাবে আগামী দিনে অসম, নাগাল্যান্ড, মণিপুর, মিজোরাম, মেঘালয় অরুণাচল্প্রদেশ, সিকিম সহ উত্তর পূর্বে প্রাকৃতিক সংকট তৈরি হতে চলেছে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদ ও পরিবেশ বিজ্ঞানীরা।

মেঘালয়ে অবৈধ কয়লাখনি, থেকে কয়লা চুরি , নাগাল্যান্ডে অরণ্য ধ্বংস, বন্যপ্রাণী হত্যা মণিপুরে অরণ্য ধ্বংস, ব্যপক প্রাকৃতিক সমস্যার ইঙ্গিত দিচ্ছে। জলস্তর নামা,ভূমিক্ষয়ের পাশে ভূকম্পণের মাত্রা বাড়াও চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে পরিবেশবিদ্দের কপালে।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *