NewsPublic Interest News

কলকাতায় গরিব পরিবারদের জন্য স্থায়ী বাসস্থানের উদ্যোগ,১৫০০-র বেশি পরিবার উপকৃত

জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:কলকাতা পুরনিগম শহরের নিম্নআয়ের মানুষদের জন্য বড়সড় পদক্ষেপ নিতে চলেছে। ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্পের আওতায় এবার শহরের চারটি জায়গায় ১৫০০-র বেশি দুঃস্থ পরিবারকে পাকা ছাদের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে পুরসভা। ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পের অনুমোদন হয়েছে মেয়র পরিষদের বৈঠকে।

চারটি স্থানে নির্মাণ হবে নতুন ফ্ল্যাট

পুরসভা সূত্রে খবর, এই চারটি প্রকল্প গড়ে উঠবে উত্তর কলকাতার বেলগাছিয়া, অরফানগঞ্জ, শশী শেখর বসু রোড এবং কেওড়া পুকুর এলাকায়।

বেলগাছিয়া (রসগোল্লা পট্টি)

কয়েক বছর আগে টালা সেতুর নির্মাণকাজের জন্য মাথার ছাদ হারানো পরিবারগুলির পুনর্বাসনের জন্য এই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এখানে মোট ৩৮৪টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে। ২৪টি চারতলা ভবনে ১৬টি করে ফ্ল্যাট থাকবে, প্রতিটির আয়তন ৩৭৪ বর্গফুট। এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ৩২ কোটি টাকা।

অরফানগঞ্জ (৭৪ নম্বর ওয়ার্ড)

এখানে চারটি বিল্ডিংয়ে মোট ৬৪টি ফ্ল্যাট তৈরি হবে, যেখানে খালপাড়ের দরিদ্র পরিবারগুলিকে পুনর্বাসন দেওয়া হবে। প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ ৪ কোটি টাকা।

শশী শেখর বসু রোড (৭৩ নম্বর ওয়ার্ড)

এখানে মোট ৮টি ফ্ল্যাটের একটি বিল্ডিং তৈরি হবে, যেখানে ৮টি পরিবার স্থায়ী বাসস্থান পাবে। এই প্রকল্পের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ১ কোটি টাকা।

কেওড়া পুকুর (১২৩ নম্বর ওয়ার্ড) – সবচেয়ে বড় প্রকল্প

কলকাতা পুরনিগমের বৃহত্তম আবাসন প্রকল্প হতে চলেছে কেওড়া পুকুর এলাকায়। ১৭ বিঘা জমির উপর এক হাজার দরিদ্র পরিবারের স্থায়ী আবাসন তৈরি হবে। এই প্রকল্প এখনও পরিকল্পনায় রয়েছে, জমি প্রস্তুতের কাজ চলছে।

নতুন ঠিকানায় নতুন ভবিষ্যৎ

পুরনিগমের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, “রাজ্যের আর্থিক সহায়তায় এতগুলো দরিদ্র পরিবারকে স্থায়ী বাসস্থান দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।” বেলগাছিয়া, অরফানগঞ্জ ও শশী শেখর বসু রোডের প্রকল্পগুলির নির্মাণকাজ ইতিমধ্যেই অনেকদূর এগিয়েছে। কেওড়া পুকুরের প্রকল্পের জমি প্রস্তুতির কাজ চলছে।

তৃণমূল সরকারের উদ্যোগে ‘বাংলার বাড়ি’ প্রকল্প শহরের হতদরিদ্র মানুষদের স্থায়ী ঠিকানা দেওয়ার ক্ষেত্রে বড় মাইলফলক হতে চলেছে। নির্বাচনের আগে এই প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের দিকে নজর দিয়েছে প্রশাসন,যাতে আর কোনো পরিবারকে খোলা আকাশের নিচে দিন কাটাতে না হয়।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *