NewsPublic Interest News

অকশানের মাধ্যমে নিজেদের জমির লিজ দিয়ে ন্যায্য বকেয়া টাকা পেলেন সুন্দরবনের বহু জমির মালিক 

হাসানুজ্জামান,মানুষের মতামত:মেছো ভেড়িতে জমি লিজ দিয়ে চুক্তি মতো টাকা পাচ্ছিলেন না জমির প্রকৃত মালিকরা।বসিরহাটের সুন্দরবনের হাড়োয়া ব্লকের গোপালপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েত জুড়ে মাছ চাষের জন‍্য প্রায় ১৪০০ বিঘা জমি লিজ বাবদ নিয়েছিলেন ৮ জন মৎস্য ব‍্যবসায়ী। চুক্তিতে বলা হয়েছিল বছর ভিত্তিক টাকা মেটানো হবে। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেই টাকা কোনো এক অসৎ উপায় এই গ্রামবাসীরা পাচ্ছিলেন না। অভিযোগ উঠেছিল কেউ বা কারা সেই টাকা অসৎ উপায় আত্মসাৎ করেছে। সেই টাকা অবশেষে অকশানের মাধ‍্যমে উদ্ধার করতে সক্ষম হলেন এলাকার বেশ কিছু সমাজকর্মীরা।যার ফলে স্বভাবতই খুশি গোপালপুর ২নং গ্রাম পঞ্চায়েতের আমতা, খাটরা,পুকুরিয়া,জামপুর, এন্দুয়া ও সোনাকোপা সহ একাধিক গ্রামের প্রায় ২৭০০ প্রকৃত জমির মালিক। মিজানুর মন্ডল নামক এক জমির মালিক বলেন, “স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের স্বামী বাগবুল কালাম মুন্সী দীর্ঘদিন ধরে তার প্রভাব খাটিয়ে এমনকি মেছোঘেরি মালিকদের কাছ থেকে ঘুষ খেয়ে আমাদের ঠিকমতো টাকা দিত না। কখনো ৮ হাজার কখনো ১২ হাজার টাকা করে দিত। যা চুক্তি অনুযায়ী সঠিক ছিল না। এমনকি টাকা চাইতে গেলে দু-একজনকে মারধরও করা হয়েছে।সারা বছর ধরে একাধিক কিস্তিতেও টাকাগুলো মিলতো না। পরবর্তীতে স্থানীয় যুবক তথা সমাজকর্মীদের উদ্যোগে আজ আমরা অকশানের মাধ‍্যমে দ্বিগুণ-তিনগুণ করে টাকা পাচ্ছি।”

এক জমির মালিক সাহাদ আলী মোল্লা বলেন, “দীর্ঘদিনের বকেয়া টাকা একসাথে পেয়ে যথেষ্টই খুশি আমরা। স্থানীয় বুলবুল ও কামারুলদের মতো যুবকদের ধন্যবাদ জানাবো আমাদের পাশে এইভাবে দাঁড়ানোর জন্য।” যার বিরুদ্ধে বিরুদ্ধে প্রকৃত জমি মালিকদের অভিযোগ সেই গোপালপুর দু নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি বাগবূল কালাম মুন্সী বলেন, সম্পূর্ণ চক্রান্ত করে পিছন দিক থেকে করানো হচ্ছে এর কোন ভিত্তি নেই প্রমাণ নেই গোপালপুর কে শিরোনামে রাখার জন্য এগুলো পিছন দিক থেকে করানো হচ্ছে।”

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *