InternationalPolitics

আমেরিকা হবে ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী?

স্টাফ রিপোর্টার,মানুষের মতামত:রাশিয়াকে সরিয়ে ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী হতে যাচ্ছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এক চুক্তির মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। একইসঙ্গে, ভবিষ্যতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ বিপুল সামরিক সরঞ্জাম কেনারও পরিকল্পনা করছে ভারত।

ট্রাম্প এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত ‘বাণিজ্যে অধিকতর ন্যায্যতা ও পারস্পরিক সুবিধা’ আনতে একসঙ্গে কাজ করবে। তিনি উল্লেখ করেন, ২০২৪ সালে ভারতের সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৪৫ দশমিক ৬ বিলিয়ন ডলার। এই ঘাটতি তেল ও গ্যাস বিক্রির মাধ্যমে সহজেই পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করেন ট্রাম্প।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, আমি এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী জ্বালানি খাতে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছি, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ভারতের প্রধান তেল ও গ্যাস সরবরাহকারী হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করবে।

বর্তমানে ভারতের প্রধান তেল সরবরাহকারী দেশগুলো হলো রাশিয়া, ইরাক, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই তালিকায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে পঞ্চম স্থানে।

এদিন ট্রাম্প আরও ঘোষণা করেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এ বছর থেকেই ভারতে ‘বহু বিলিয়ন ডলারের’ সামরিক সরঞ্জাম বিক্রি বাড়াবে।

মোদী জানান, দুই দেশ ২০৩০ সালের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। তিনি বলেন, পারস্পরিকভাবে লাভজনক একটি বাণিজ্য চুক্তি খুব শিগগির সম্পন্ন করতে কাজ করবে আমাদের দল।

বৈঠকে অবৈধ অভিবাসন ইস্যুতে ট্রাম্প প্রশাসনের কঠোর নীতির প্রতিও সমর্থন জানায় ভারত। মোদী বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, অবৈধভাবে কোনো দেশে প্রবেশকারীদের সেখানে থাকার অধিকার নেই। তিনি জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে থাকা যে কোনো অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে ফিরিয়ে নিতে তারা প্রস্তুত।

গত ৫ ফেব্রুয়ারি ১০০র বেশি অবৈধ ভারতীয় অভিবাসীকে নিজ দেশে ফেরত পাঠিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

ভারত ঐতিহ্যগতভাবে ‘কৌশলগত স্বায়ত্তশাসন’ নীতিতে চলে এবং নির্দিষ্ট জোটের অংশ হতে চায় না। তবে, ২০২০ সালে চীনের সঙ্গে সীমান্ত সংঘর্ষের পর ভারত পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছে, বিশেষ করে কোয়াড জোটের মাধ্যমে।

যদিও ভারত প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে রাশিয়ার দীর্ঘদিনের অংশীদার। তবে এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেছেন, আমরা ভারতের প্রতিরক্ষা সরঞ্জাম কেনাকাটায় মার্কিন প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিতে চাই।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *