NewsRecent News

মহাকুম্ভে মৃতদের সংখ্যা লুকনোর চেষ্টা হচ্ছে বাজেট পেশের পর অভিযোগ মমতার

জিৎ দত্ত,মানুষের মতামত:মহাকুম্ভতে এত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কতবার রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে। কটা প্রতিনিধি দল গিয়েছে। আমাদের এখানে বান তলায় তিনজন মারা গেল। আমরা তাদের সব ধরনের সাহায্য করেছি। তারপরেও কেন্দ্র রিপোর্ট চেয়ে পাঠাচ্ছে। বাজেট পেশের এই বলে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রসঙ্গত বুধবার রাজ্য বিধানসভায় বিধানসভা নির্বাচনের আগে শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বাজেট পেশের পর বিধানসভার প্রেস কর্নারে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার সঙ্গে ছিলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা অমিত মিত্র এবং অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। তাদের পাশে বসিয়েই এ দিন কুম্ভতে মৃতের সংখ্যা লুকানোর অভিযোগ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, কত মানুষ মারা গিয়েছেন কুম্ভতে। আপনাদের কাছে তার কোনো সঠিক তথ্য নেই। এমনকি তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ মাধ্যমকে তথ্য না দেওয়ার অভিযোগ এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই দিনগুলি সাধারণ মানুষের জন্য ছাড়া উচিত।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কুম্ভতে কত বড় আগুন লেগেছিল, আমি এর কনডেম করছি না। তবে এত প্রচার চালানো হয়েছে অনেক বেশি সংখ্যক মানুষ সেখানে পৌঁছে গিয়েছিল। তার কারণেই এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ দিন মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, কোন বিষয়ে বেশি প্রচার করার আগে এটা দেখা উচিত কতটা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা আপনাদের আছে। প্রত্যেক বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময় আমি সেখানে যাই না। কুম্ভ মেলায় ভিআইপিদের জন্যই জায়গা করতে গিয়ে সাধারণ মানুষ ঢোকার সুযোগ পাচ্ছে না। আজ যারা যাচ্ছেন তাদের দুর্ঘটনার শিকার হতে হচ্ছে। মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন থেকে কুম্ভতে মৃতদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন। একই সঙ্গে তিনি এটাও মনে করিয়ে দিয়েছেন করোনা কালে এই উত্তরপ্রদেশেই অনেক মৃতদেহ গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছিল। যেগুলি বিহার এবং বাংলায় পাওয়া গিয়েছিল।

এখানেই শেষ নয় কুম্ভ মেলায় মৃতদের পরিবারের সঙ্গেও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পোস্টমর্টেম ছাড়াই চিরকুট দিয়ে মৃতদেহ পাঠিয়ে দেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন মৃতদেহের সঙ্গে যে কাগজ দেওয়া হয়েছে তাতে শুধু মেডিকেল কলেজের নাম আছে তবে কারো সিগনেচার নেই। যিনি মৃতদেহ গ্রহণ করেছেন তার নাম শুধু লেখা আছে। কিন্তু এই মানুষগুলো ক্ষতিপূরণের প্রশ্ন রয়েছে, সেখানে পোস্টমর্টেম ছাড়া কিভাবে মৃতদেহ গুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া যায় প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাদের দেওয়া কাগজেই ইন্সিডেন্ট বা এক্সিডেন্টের কোন উল্লেখ নেই। ফলে এটা বোঝা যাচ্ছে না মৃত্যু কি হার্ট এ্যাটাকে হয়েছে, নাকি কোন দুর্ঘটনায়। আর সে কারণেই আমাদের নতুন করে পোস্টমর্টেম করতে হয়েছে। ওরা এসব করেনি কারণ আগামীতে বলতে পারবে এর মৃত্যু হয়েছে হার্ট অ্যাটাকে তাহলে কোন ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সুযোগ থাকবে না। এর থেকেই বোঝা যায় উত্তরপ্রদেশে কুম্ভ এ যারা মারা গিয়েছেন তাদের মৃতের সংখ্যা লুকানোর চেষ্টা হচ্ছে।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *