আরএসএসের শতবর্ষের বিশেষ প্রস্তুতিতে বঙ্গে মোহন ভাগবত?
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:আরএসএসের শতবর্ষের প্রস্তুতি চলছে সারা দেশেই। ২০২৫ দেশের হিন্দুত্ববাদী রাজনীতি ও হিন্দুত্বের আদর্শের গুরুত্বপূর্ণ সময়। ১৯২৬ সালে দেশের বিশিষ্ট মুক্তি সংগ্রামী ও যোদ্ধা কেশব বলিরাম হেগড়েওয়াদকার রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। হিন্দু সংস্কৃতি ও ধর্ম-আচার আচরণের ভিত্তিতে আর এস এস দীর্ঘ শতবর্ষে কাজ করে চলেছে। প্রথমে আর এস এস নেতৃত্বে মারাঠি চিৎপাবন ব্রাহ্মণদের নিয়ন্ত্রনে থাকলেও কালক্রমে আজ আর এস এস সামগ্রিক হিন্দু সমাজের প্রতিনিধিত্ব করছে। আরএসএস এখন শুধু ব্রাহ্মণ বা উচ্চবর্ণের হিন্দুদের সংগঠন এমন ধারণা থেকে বেরিয়ে আসছে। ওবিসি,দলিত, উপজাতি শ্রেনীর মানুষেরাও আরএসএসের হিন্দুত্ব সাংস্কৃতিকবাদের আদর্শে সংঘবদ্ধ হচ্ছেন। মোহন ভাগবত শতবর্ষের প্রস্তুতিতে এখন পশ্চিমবঙ্গে রয়েছেন
প্রথমে গান্ধী হত্যা, পরে ৭৫ সালে দেশে জরুরি অবস্থার সময় দু-দুবার আর এস এস নিষিদ্ধ হলেও এখন তাদেরই ছায়ায় বিজেপির দেশের রাজনৈতিক ক্ষমতা দখল করেছে। রাজনৈতিক মহল মনে করেন যে, বাস্তবে বিজেপির আসন চালিকা শক্তি হল আর এস এসই। যদিও আর এস এস নেতারা এখন অনুমানকে প্রকাশ্যে স্বীকার করেন না।
২৫-এ আর এস এসের শতবর্ষ পালনের সুচনা হবে সারা দেশ জুড়েই।শুধু হিন্দিবলয় নয়, পশ্চিম ভারত, দক্ষিণ ভারত, পূর্ব ভারত এমন কি উত্তর-পূর্ব ভারতেও আরএসএসের শতবর্ষ পালনের কর্মসূচী পালনের বিস্তারিত আলোচনা চলেছে। উত্তর-পূর্ব ভারতের অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, মণিপুর, অরুণাচল প্রদেশ এমন কি নাগাল্যান্ড, মিজোরামেও বছরভর আর এস এস শতবর্ষ পালনের কর্মসুচী নেওয়া হচ্ছে। ২৫ সাল জুড়ে অসমে ২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে হিন্দুত্ববাদী রাজনীতির প্রেকশিতে সংঘের শতবর্ষের কর্মসূচী থেকে সাংগঠনিক-রাজনৈতিক লাভ ওঠাতে মরিয়া বিজেপি এমনটাই মনে করছেন উত্তর-পুর্বের রাজনৈতিক মহল।