রাভা ভাষায় গান-নাচ করেও মিলছে না ভাতা,সরকারি অনুদানের অপেক্ষায় রাভা নৃত্য কারীরা
সানি রায়,মানুষের মতামত:পর্যটকদের মনোরঞ্জনে রাভা নৃত্য পাশাপাশি রাভা ভাষায় গান।আর এই নাচ-গান দেখে খুশি হন পর্যটকরা।এইভাবে আগত সমস্ত পর্যটকদের খুশি করে ও
রাভা নৃত্য দেখিয়ে সংসার চালান জঙ্গলের পাশে থাকা রাভা জনজাতির মানুষজন।জলদাপাড়ার জাতীয় উদ্যানের চিলপাতার গহীন জঙ্গলে পর্যটকরা সাফারি করার পর বসে শোনেন এলাকার কৃষ্টি সম্বলিত গান-বাজনা।সাফারি করে যেমন হাতি,গন্ডার,বাইসন হরিণ তাঁদের মনে মনোরঞ্জন দেয়,তেমনি এই রাভা নৃত্যও পর্যটকদের বাড়তি আকর্ষন থাকে।এই নাচ-গান আয়োজিত হয় চিলাপাতা রেঞ্জের মেন্দাবাড়ি বিট অফিস চত্বরে।দেশ ও বিদেশের পর্যটকরা এই রাভা নৃত্যর নাচ দেখার জন্য প্রচুর ভিড় জমান।।এই নাচের সময় কয়েকজন তাঁদের নিজস্ব ঢোল,বাশি বিভিন্ন সরঞ্জাম অনেক কিছু জিনিস বাজিয়ে,রাভা ভাষায় গান করেন শিল্পীরা এবং তাঁদের নৃত্য তুলে ধরেন।
কিন্তু বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা কমে যাওয়ায় সংকটে পড়েছেন রাভা শিল্পীরা।টান পড়েছে তাদের রুটি রুজির।
এনিয়ে এক শিল্পী আক্ষেপের সুরে “মানুষের মতামত”-কে জানান ‘আমাদের কৃষ্টিকে বাঁচিয়ে রাখতে আমরা তো গান-বাজনা-নৃত্য চালিয়ে যাচ্ছি।আমাদের চাই সরকারি অনুদান।এটি হলে বাঁচবে আমাদের কৃষ্টি।না হলে হারিয়ে যাবে আমাদের কৃষ্টি’।যদিও তথ্য সংস্কৃতি দফতরের এক আধিকারিক এব্যাপারে বলেন,প্রচুর জনজাতিকে তাদের কৃষ্টি ও সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে সরকারতো তাদের অনুদান দিয়েই থাকে।ওরানা পেলে নির্দিষ্ট জায়গায় তো যোগাযোগ কর্তে হবে।এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে সরকার