পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে ডুয়ার্সে নবনির্মিত লুপ পুল
সানী রায়,মানুষের মতামত:নতুন বছরের শুরুতেই পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে ডুয়ার্সের বাগরাকোটে নবনির্মিত লুপ পুল। যদিও সেতুটি নির্মাণের কাজ এখনও সম্পন্ন হয়নি। তা সত্ত্বেও জানুয়ারির প্রথম দিন থেকে প্রতিদিনই ছবি তুলতে আসছেন অসংখ্য মানুষ। উদ্বোধনের আগেই যেন মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে এই সেতু। পশ্চিমবঙ্গ সহ হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত গোটা উত্তর-পূর্ব এলাকায় সম্ভবত এমন আকর্ষণীয় লুপ পুল আর কোথাও নেই। এজন্য দিন কয়েকের মধ্যেই দারুনভাবে পরিচিতি পেয়েছে ডুয়ার্সের বাগরাকোট এলাকা। নির্মীয়মাণ সেতুটি পাহাড়ি পথে দড়ির বন্ধনের মতো এঁকেবেঁকে উপরে উঠছে। এজন্য দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয় হয়ে উঠেছে সেতুটি। ইতিমধ্যেই এই সেতুটি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় উঠেছে। এতেই আরও বেশি করে পরিচিতি পাচ্ছে বাগরাকোটের লুপ পুল। এই সেতু দেখার জন্য রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ক্রমশই ভিড় করছেন। জলপাইগুড়ি জেলার মাল মহকুমার ওদলাবাড়ির কাছেই রয়েছে বাগরাকোট। মূলত চিন সীমান্তে থাকা সামরিক বাহিনীর যাতায়াতের প্রয়োজনে ডুয়ার্স থেকে সিকিমের নাথুলা পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরি করা হচ্ছে। তবে পর্যটকদের জন্যেও ব্যবহৃত হবে এই দুই লেনের রাস্তা। তাই পাহাড়ি পথের এই চওড়া রাস্তাকে আরও বেশি
আকর্ষণীয় করে তুলতেই লুপ পুল যুক্ত করা হচ্ছে। এই রাস্তা নির্মাণের কাজ সম্পন্ন হলে অনেক কম সময়ে ডুয়ার্স থেকে সিকিমে যাতায়াত করা যাবে। মাল মহকুমার বাগরাকোটে অবস্থিত সেনা ক্যাম্পের পাশ দিয়েই তৈরি করা হচ্ছে নতুন এই সড়ক পথ। সেনা ক্যাম্প থেকে মাত্র চার কিলোমিটার দূরত্বে তৈরি করা হচ্ছে নতুন এই লুপ পুল। পাহাড় ও প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা এই এলাকার আকর্ষণ যেন আরও বাড়িয়ে দিয়েছে সেতুটি। সেতুটিকে দু’টি ভাগে ভাগ করে তৈরি করা হচ্ছে।y ডুয়ার্সে মালবাজার এলাকায় বেড়াতে আসা পর্যটক অনিল রুদ্র বলেন, বাগরাকোটের লুপ পুলের সৌন্দর্যের কথা শুনে বন্ধুকে নিয়ে দেখতে এসেছি। সেতুটি দেখে সত্যিই মুগ্ধ হয়ে গেছি। পাহাড়ের কোলে মনোরম পরিবেশে এই সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা আমাদের কাছে অসাধারণ অভিজ্ঞতা।