রক্তদানে নতুন ইতিহাস গড়ল ভাঙ্গড়,পুরুষ মহিলা নির্বিশেষে সবাই করলেন রক্তদান
নিজস্ব প্রতিবেদক,মানুষের মতামত:পয়লা জানুয়ারি একদিকে যেমন ছিল ইংরেজি বছরের প্রথম দিন আবার অন্যদিকে ছিল রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের ২৮ তম প্রতিষ্ঠা দিবস,আর এই দিনে যেমন উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙ্গড়ের মাটি,রাজনৈতিক গোষ্ঠী কোন্দলে চর্চায় ছিল গোটা পশ্চিমবঙ্গ ব্যাপী,কিন্তু ঠিক তার কয়েক দিনের ব্যবধানে আজ আবার ভাঙড়ের পরিচয় হল “রক্তদান মহোৎসব”-র ক্ষেত্র। ভাঙড় মানেই গুলি,বোমা,বন্দুকের এলাকা বলে কম ব্যঙ্গ করতে শোনা যায় না রাজ্যব্যাপী আর তারই মাঝে রক্তদানে আজ ভাঙড় গড়লো এক নতুন ইতিহাস।
অতীতের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে এবার সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ করলেন রক্তদান। পুরুষ- মহিলা নির্বিশেষে রক্তদান করেন ৩৫৬৭ জন। বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী এই অভিনব উৎসবের উদ্যোক্তা। সহযোগিতায় আইএসএফের ভাঙড় বিধানসভা কমিটি।
এদিন নওসাদ সিদ্দিকী বলেন, কুৎসা রটিয়ে,অপপ্রচার করে ভাঙড়ের উন্নয়নকে থামানো যাবে না। বিরোধী বেঞ্চে বসে লাগাতার চারবছর ধরে শাসকের চোখে চোখ রেখে লড়াই করছি। ভাঙড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা,স্বাস্থ্য পরিষেবা, কর্মসংস্থান সহ বিভিন্ন বিষয়ে সোচ্চার হচ্ছি। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনের আগে ভাঙড়ের মানুষকে জানিয়ে দেওয়া হবে সেই কাজের খতিয়ান।
এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত শামিম আহমেদ বলেন, প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির কাজ খুন করা,রক্ত ঝরানো। আমাদের কাজ রক্তদান করা, মুমূর্ষুকে বাঁচানো।
অন্যদিকে কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম রক্তদাতাদের অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, এই মহোৎসব বাড়তি অক্সিজেন দিল। কিছু ধান্দাবাজ নেতার জন্য ভাঙড়ের নাম খারাপ হচ্ছে। এই রক্তদান উৎসব তাদের মুখের উপর জবাব দিল। তিনি রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বলেন, সঙ্ঘ পরিবারের সঙ্গে সমঝোতা করে ওবিসি সংরক্ষণ মামলায় রাজ্য সরকার হেরে গেল। উদ্দেশ্য,সংখ্যালঘু মুসলমানদের কর্মক্ষেত্রে বঞ্চিত করা। এর বিরুদ্ধে নওসাদ সিদ্দিকী মামলা করছেন। আদালতে এই লড়াই চলবে।