নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়ায় হরিপুর গ্রামে ভাইয়ের হাতে দাদা খুন,এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্য
অর্ধেন্দু মালাকার,মানুষের মতামত:নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার অধীন হরিপুর গ্রামে শুক্রবার রাতে পারিবারিক বিবাদে ভাইয়ের হাতে খুন হতে হলো দাদাকে। স্থানীয় সূত্রের খবর শুক্রবার রাতে ধৃত যুবক বাপ্পা মন্ডল তার মায়ের কাছ থেকে নেশা করার জন্য টাকা চায়। কিন্তু সেই টাকা দিতে অস্বীকার করলে মা ও তার বৌদির ওপর বাঁশ দিয়ে মারধর শুরু করে,সেই মারধর ঠেকাতে যায় দাদা বাপন মন্ডল। কিন্তু দাদাও রেহাই পেল না ভাইয়ের কাছে,বাপ্পা মন্ডল বাঁশ দিয়ে আঘাত করে তার দাদাকে, ঘটনারস্থলেই লুটিয়ে পড়েন বাপন!পাড়ার স্থানীয় প্রতিবেশীরা ছুটে এসে বাপনকে ও তার স্ত্রী ও মা কে আহত অবস্থায় প্রথমে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য করিমপুর গামীন হাসপাতালে পাঠায়। অবস্থার অবনতি দেখে তিনজনকেই স্থানান্তরিত করা হয় জেলা হাসপাতালে, শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে বাপনের মৃত্যু হয়!মৃত যুবকের স্ত্রী ও মা চিকিৎসাধীন রয়েছেন আশঙ্কাজনক অবস্থায়!শনিবার দুপুরে হোগলবাড়িয়া থানায় ধৃতের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জমা পড়ে!কিন্তু খুনি ভাই শুক্রবার রাত থেকে পলাতক। হোগলবাড়িয়া থানার পুলিশ ধৃত যুবকের খোঁজ চালাচ্ছে। এই নিয়ে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। আজ মৃতদেহটি শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়!এই ঘটনায় এলাকায় রীতিমতো শোকের ছায়া নেমে এসেছে।