Feature NewsNews

মমতার কৌশলে ব্যাকফুটে নাগরিক আন্দোলন

সোহেল চক্রবর্তী,মানুষের মতামত:আরজিকর কাণ্ড নিয়ে বর্তমানে অনেকটাই চাপ মুক্ত রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। ঘটনার সূত্রপাত থেকে অর্থাৎ প্রায় তিনমাস যাবত নাগরিক সমাজ, ও তৃণমূল বিরোধী দলগুলি ধর্না, মিছিল আন্দোলনে অস্বস্তিতে ছিল শাসক শিবির। তবে মমতার সুকৌশলে আন্দোলন এখন অনেকটাই স্তিমিত।

বর্তমান পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দল ও সরকারের হাত ধরতে মাঠে নেমেছেন। রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সরাসরি হাওড়া, হুগলী, পূর্ব মেদিনীপুর বাঁকুড়া জেলায় জনসংযোগ সেরেছেন। পূর্ব বর্ধমান, বীরভুমে প্রশাসনিক বৈঠকে অংশ নিয়েছেন। এমনকি নবান্ন থেকে বন্যা মোকাবিলায় সদর্থক ভূমিকা নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবার মাঠে নামায় উৎসাহ উদ্দীপনা বেড়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা=কর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে।
গ্রামীন বাংলায় বিশেষ করে মুসলিম প্রধান গ্রাম, ব্লক ও জেলায় আর জি কর কাণ্ডের তেমন কোনও প্রভাব পড়েনি। যা নিয়ে স্বস্তিতে শাসক শিবির। অন্যদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হিন্দু, বাঙ্গালী, মধ্যবিত্ত ও উচ্চ মধ্যবিত্ত এলাকাগুলিতে জনসংযোগ চালিয়ে যেতে থাকেন। এবারও মহালয়ার পর একের পর এক দুর্গা পুজো মণ্ডপে যান। জনসংযোগ কর্মসূচি সারেন।
এছাড়া এবার পুজায় সরকারি অনুদান বাড়িয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ৮৫ হাজার টাকা করে দিয়েছেন তিনি। ২০২৫ সালে যা ১ লাখ টাকা হতে চলেছে বলেই খবর।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূলের অতি ঘনিষ্ঠ বৃত্তের মানুষেরা মনে করেন, আর জি কর কাণ্ড নিয়ে জন মানসে প্রশাসন বিরোধী মনোভাব গড়ে উঠেছিল তা বর্তমানে অস্তমিত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ভাবমূর্তির ক্যারিশ্মাতেই মোকাবিলা করেছেন। ঘুরেছে আন্দোলনের অভিমূখ। , এখন বাম, অতি বাম নিয়ন্ত্রিত নাগরিক আন্দোলন কার্যত কোণঠাসা। উপ নির্বাচনে তার কোন প্রভাব পড়েনি বলেই মনে করা হচ্ছে।

Share with

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *